ই-কমার্স সেল এর ক্ষেত্রে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সাধারণ ছুটিতে কমে গেলেও গত ২ সপ্তাহে সর্বশেষ আপডেট ফ্যাশনওয়ার সেল বিক্রি দ্বিগুন হয়ে গেছে। বা ১০০% শতাংশ বেড়েছে। যদিও রোজার প্রথমদিকে লকডাউন যখন শিথিল হয় তখনি বেড়েছে ২০-২২% শহরের পাশাপাশি গ্রামেও ডেলিভারির হার বেড়েছে। গড়ে সব ধরনের পণ্য মিলিয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে ৭০% বিক্রি বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার ই-ক্যাব সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ই-ক্যাব জেনারেল ম্যানেজার . জাহাঙ্গীর আলম শোভন জানিয়েছেন, প্রতিদিন রোজার আগে দেড়লাখ ডেলিভারী হলেও ঈদে তা ২ লাখ ৫০ হাজারের কাছাকাছি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবার ব্রান্ড শপের পণ্য তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং মার্কেটপ্লেস থেকে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশী সেল হচ্ছে। এবং যেসব ফেসবুক পেইজের সুনাম রয়েছে তারাও ভাল সাড়া পেয়েছে। ব্রান্ডের পণ্য বিক্রি বৃদ্ধির কারণে বাস্কেটভ্যালু গড়ে ২০০০ টাকা চুঁয়েছে। যা গত বার ছিল ১৫শ টাকার মতো।
ধারণা করা হচ্ছে ,ঈদ উপলক্ষ্যে গত ১ মাসে ১৫শ কোটি টাকার ডেলিভারিবল বা হাতে ধরে বিতরণযোগ্য পণ্য অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। ভার্চুয়াল প্রোডাক্টস বা নন ডেলিভারিবল পণ্য এই হিসেবে ধরা হয়নি। সাধারণত বুদ্ধিভিত্তিক বা অবিতরণযোগ্য পণ্য ঈদ উপলক্ষ্যে বিক্রি বৃদ্ধি পায়না।
তবে ১৫শ কোটি টাকার এর মধ্যে ১ হাজার থেকে ১২শ কোটি টাকার পোশাক ও গেজেট বিক্রি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
গতবার ডেলিভারীর ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়েছিল, যেমন ডেলিভারীম্যান সংকট ও সময়মতো ডেলিভারী দিতে না পারে। এবার এধরনের সমস্যা খুব যৎসামান্য। কারণ অনলাইন উদ্যোক্তারা গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে এবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
এবার যে সমস্যা ছিল সেটা হলো প্রথমত পুঁজি সংকট। দ্বিতীয়ত অনলাইন উদ্যোক্তারা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না কি ধরনের সাড়া তারা পাবেন যেহেতু শেষ মুহুর্তে শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে।
ই-ক্যাব থেকে সরকারের অনুমতি নিয়ে ডেলিভারীর সময়সীমা বাড়িয়ে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছিল পরে তা বাড়িয়ে ২৪ ঘন্টা করে দেয়া হয়েছে। তাই সমস্যা কিছুটা কমেছে।
এবার যেটা নতুন দেখা গিয়েছে সেটা হলো নামকরা ব্রান্ডসমূহের পণ্য অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে। গ্রামের ক্রেতাদের ক্রয়ের হার বেড়েছে। পণ্যের গড়মূল্য বা বাস্কেটভ্যালু বেড়েছে।