করোনায় বিশেষ অবদান রাখা ই-কমার্স উদ্যোগগুলোকে পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড (ইকমা) চালু করে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। সেবার ১০০ উদ্যোক্তাকে এই সম্মাননা দেয়া হলেও দ্বিতীয় বারে এই সম্মাননা নেমে যাচ্ছে এক তৃতীয়াংশে।
সূত্রমতে, আগামী ৯ নভেম্বর ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে ইকমা ২০২৩ সম্মাননা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ২৭ ক্যটাগরিতে একাধিক সম্মাননা দেয়া হতে পারে। তবে এই সংখ্যাটা ৩৫ এর নিচে থাকবে। এরই মেধ্যে (২৮ অক্টোবর পর্যন্ত শেষ সময়ে) জমা পড়া দেড় শতাধিক আবেদন যাচাই বাছাই করেছেন ১০ সদস্যের বিচারক প্যানেল। বিচারকদের দেয়া নম্বরের ভিত্তিতে সমান সংখ্যক নম্বর পাওয়ায় একটি ক্যাটাগরিতে একাধিক সম্মাননা দেয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ইকমা ২০২৩ সম্মাননা নির্বাচনের বিচারক প্যানেলে রয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মোঃ হাফিজুর রহমান, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ঢাবি’র আইআইটি পরিচালক অধ্যাপক ড. বিএম মইনুল হোসেন, বেটারস্টোরিজ লিমিটেডের চিফ স্টোরি টেলার মিনহাজ আনোয়ার, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সিইও বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ইনোভেশন কনসাল্টিং চেয়ারম্যান সদরুদ্দিন ইমরান, বিআইজিএফ মহাসচিব মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ফারহানা রেজা, ডেইলি স্টার-এর চিফ বিজনেস অফিসার মোঃ তাজদিন হাসান এবং আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন মহাসচিব লিয়াকত হোসেন।
মোট ২৭টি নমিনেশন ক্যটাগরির মাঝে থাকছে সেরা ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, সেরা পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম, সেরা লজিস্টিকস ই-কমার্সের জন্য, সেরা ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম, সেরা এমএফএস প্লাটফর্ম, সেরা পেমেন্ট গেট ওয়ে ছাড়াও বিভিন্ন ধরণে সাব ক্যাটাগরি। তবে সব ক্যটাগরিতেই যে পুরস্কার দেয়া হবে এই নিশ্চয়তা মেলেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এবারের সম্মাননা সুক্ষ্ম যাচাই-বাছাই করে দেয়া হচ্ছে।
ই-ক্যাব পরিচালক ও ইকমা-২০২৩ আহ্বায়ক খন্দকার তাসফিন আলম জানিয়েছেন, বিচারকদের রায় অনুযায়ী আগামী ৯ নভেম্বর বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রাহমান এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির সূতিকাগার হবে এই ই-কমার্স খাত। খাতটিতে প্রতিশ্রুতিশীল ও বহুমাত্রিক উদ্যোগ, উদ্ভাবন জাতীয় থেকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরে বাংলাদেশকে বিশ্বে ব্র্যান্ডিং করতে ইকমা অ্যাওয়ার্ড এর পুরো প্রক্রিয়া খুবই সিস্টেমেটিক ও প্রাযুক্তিক বিশ্লেষণে করা হচ্ছে। ই-কমার্স খাতের যোগ্য উদ্যোক্তাদের সম্মাননার মাধ্যমে আমরা তাদের দায়িত্বকে আরো সুসংহত করতে চাই।