‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপসের মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানসহ (২২) দু’জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ওসি মো. কামাল হোসেন খান বলেছেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে কুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান (২২) ও রেজওয়ান স্যামের (২১) বিরুদ্ধে সোমবার বিকালে কুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার সাদেক হোসেন প্রামানিক খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন। জাহিদুলকে রোববার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। ভর্তি অবস্থায় সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’
সোমবার রাতে কুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার মো. সাদেক হোসেন প্রামানিক (৩৫) খানজাহান আলী থানায় মামলাটি করেন। এরপরেই এ মামলায় জাহিদুরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার বাদী সাদেক জানান, জাহিদসহ ব্রাক ইউনির্ভাসিটি ও গোপালগঞ্জ ইউনির্ভাসিটির আরও দুই শিক্ষার্থী ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপসের মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা রোববার রাত ৯টার দিকে এমএ রশিদ হলের ১১৭ নম্বর রুম থেকে তাকে ল্যাপটপ মোবাইলসহ আটক করে। পরে হলের প্রভোস্টসহ কুয়েটের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ নিয়ে ড. এম এ রশিদ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানের কাছে দেশ বিরোধী কিছু মেসেজ ও কিছু খেলাফত টাইপের বই পাওয়া যায়। সন্দেহ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে আটকের সময় শিক্ষার্থীরা চড়-থাপ্পড় দেয়। ’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর ওই রাতেই জাহিদকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে আহত শিক্ষার্থীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।