জাঁকজমকের সঙ্গে না হলেও দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে পালিত হচ্ছে এপনিক সুবর্ণ সম্মেলন। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজনে ঢাকায় হওয়ার কথা থাকলেও অতিমারির কারণে তিন দিনের সম্মেলন হচ্ছে জুমে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ থেকে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের এই বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন দেড় শতাধিক সদস্য।
বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টায় শুরু হওয়া সম্মেলনে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য বাদে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াসহ মোট ৫৬টি দেশ থেকে সদস্যরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই দুই দিনের সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১টি সেশন।
উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য রাখেন এপনিকের ইসি কমিটির চেয়ার গৌরব রাজ উপাধ্যায়, এপনিক ডিজি পল উইলসন, আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম। এছাড়াও বিভিন্ন সেশসনে বাংলাদেশ থেকে আলোচনায় অংশ নেন এপনিক ইসি মেম্বার সুমন আহমেদ সাবির। আলোচনায় বিভিন্ন সেশনে বাংলাদেশ থেকে মইনুর রহমান, সাইমন সোহেল বারোই, আব্দুল আওয়াল, শায়লা শারমিন, আফিফা আব্বাস, দেবাশীষ পাল এবং এপনিক ইলেকশন চেয়ার মুনির হাসান অংশ নেন।
এছাড়াও গুগলের নেটওয়ার্কিং প্রকৌশলী ফিলিপ গার্সিও স্বচালিত নেটওয়ার্ক এবং আকামাইয়ের এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার অ্যালেক্স লিউং নেটওয়ার্কের ট্র্যাফিক পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে আইপিভি ৬ বাস্তবায়ন নিয়ে একটি এবং ফাস্ট টিসি সিকিউরিটি নিয়ে ২টি ও একটি উন্মুক্ত বৈঠক হয়েছে। সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে ৪টি সেশন। সবশেষ বার্ষিক সাধারণ সভার মধ্য দিয়ে বেলা দুইটায় পর্দা নামবে সুবর্ণ এপনিকের।
প্রথম দফায় ২০১৬ সালে হলি আর্টিজেনের হামলা এবং এবার করোনার কারণে ঢাকায় বড় পরিসরে সম্ভব না হলেও ২০২২ সালে ফের এই সম্মেলনের আয়োজনের সুযোগ পেতে পারে স্বাগতিক বাংলাদেশ, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।