মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর পরামর্শে আস্বস্ত হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপন শুরু করেছে ইন্টারনেট সেবাদাতার। ইতোমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাটা ক্যবলের ৮০ শতাংশ অঞ্চলের ফাইবার ক্যাবল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ফের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্বাধীনতা পেতে শুরু করেছেন ওই অঞ্চেলের প্রায় দেড় লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
এদিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে বাকি অঞ্চলের শতভাগ বিচ্ছিন্ন সংযোগ পুনঃসংযোগ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ফাইবার ক্যাবল নতুন করে স্থাপন করতে গিয়ে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১০ কোটি টাকার মতো গচ্ছা দিতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, সংযোগ প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরুর তিন দিনে ধানমন্ডি, কলাবাগান, মতিঝিল, খিলাগাঁও, ফুলবাড়িয়া এলাকার সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে প্রধান সড়কের সৌন্দর্য্য রক্ষা করেই ওই অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন-আইএসপিএবি। সংগঠটির পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে ‘ক্যাবল শেয়ারিং’ পাইলট প্রকল্প। জিগা তলা থেকে বডার গার্ড গেট পর্যন্ত ২ কোলিমিটার তার অপসারণ করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আগামীকাল শনিবার এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক।
ডিজিবাংলা’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, সবজায়গায় একইভাবে ড্রেনেজ সুবিধা না থাকা এবং এখানে একাধিক পক্ষের অনুমতির বিষয়ক জটিলতা থকায় সাতমসজিদ রোড থেকে ড্রেনেজ-ম্যানহোলের মাধ্যমে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং এর মাধ্যমে ক্যাবল সঞ্চালন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেছেন, বিকল্প পথ হিসেবে রাস্তার সৌন্দর্য ঠিক রেখেই ওভারহেড ক্যাবেল পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে জিগাতলায় ক্যাবল শেয়ারিং ‘পাইলট প্রকল্পটি’হাতে নেয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে সড়কে ৭০ শতাংশ ঝুলন্ত তার কমে যাবে। এছাড়াও রাস্তার সৌন্দর্য রক্ষায় অবৈধ তার যেন যেতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারী করা হবে। এই প্রকল্পটি মেয়রে মহোদয়ের কাছ থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে নগরবাসীকে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা অব্যাহত রাখা হবে।
জানাগেছে, ক্যাবল শেয়ারিং পদ্ধতিতে প্রধান সড়কের বিদ্যুতের পিলারগুলোতে জিআই তার টানিয়ে তার সঙ্গে ফাইবার ক্যাবল সঞ্চালন করা হবে। এতে করে তার ঝুলে পড়বে না। ব্যবহার করা হবে ২৪ কোরের ফাইবার। প্রধান সড়কে কোনো ‘ফাইবার লুপ’ এবং ‘টিজিবি বক্স’ ব্যবহার করা হবে না। এগুলো থাকবে ব্যবহারকারীর বাসার নিচে। এতে করে রাস্তার সৌন্দর্য্য বজায় রেখেই চলবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সঞ্চালন কার্যক্রম।
এদিকে হঠাৎ-হঠাৎ ইন্টারনেটের তার কাটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ বিষয়ে ফেসবুক পেজে দেয়া এক মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, “ঢাকা শহরের কোন কোন অঞ্চলে ক্যাবল কাটা হচ্ছে। এর ফলে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সবিনয়ে জানাতে চাই যে আমরা কঠিন সময়ে ইন্টারনেট চালু রাখার জন্য লড়াই করে আসছি-এখনও করছি। এই তার কাটার সাথে ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের কোন সম্পর্ক নেই বরং আমরা নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা যাতে জনগণ পেতে পারে তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। ইন্টারনেট এখন জীবন ধারনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।”