দেশজুড়ে নির্মিতব্য ২৮টি হাইটেক পার্কের মধ্যে ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে ৫টি হাইটেক পার্ক। ইতোমধ্যেই এই টেকসিটিগুলো বিদেশী বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠছে।
মঙ্গলবার অরিক্স বায়ো-টেকের ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চুক্তির পর গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু পার্কে স্মার্টফোন তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নকিয়া। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ প্রকল্প করতে চাইছে অপর একটি কোম্পানি। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার প্লান্ট নির্মাণে বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে মালোয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার এসব তথ্যই জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অরিক্সের চুক্তিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষে প্রযুক্তি খাত থেকে অন্যতম বিনিয়োগ উপহার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, দেশের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং আর অ্যান্ডডিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে এবং নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গত ৩ বছরে ৮টি কোম্পানি বাংলাদেশে মোবাইল উৎপাদন করছে। উৎপাদিত ফোন দেশের ৩০ শতাংশ চাহিদা মেটাচ্ছে।
হাইটেক পার্কগুলোকে জমি ও স্পেস বরাদ্দের কাজ চলছে উল্লেখ করে আইসিটি বিভাগের জেষ্ঠ সচিব বলেন, হাইটেক পার্ক কতৃপক্ষের নির্মিতব্য ২৮টি হাইটেক পার্কের মধ্যে এখন কালিয়াকৈর, রাজশাহী ও সিলেটে নির্মিত পার্কে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোরে ৪৮টি কোম্পানি পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করছে। ঢাকার কাওরান বাজারে কাজ করছে ১৫টি আইটি কোম্পানি।
হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করলে ১৪ ধরনের প্রণোদনা সহ সরকার কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে বলেও জানান জ্যেষ্ঠ সচিব। তিনি বলেন, অনলাইনে ১০টি সহ বিনিয়োগকারীদের ১৪৮টি সেবাও দিচ্ছে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত স্টেক হোল্ডারদের ২৫০টিরও বেশি সেবা দেয়া হয়েছে।