সোমবার আইএসপিএবি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিতে জাদুতেও বশীভূত হয়নি ঢাকা কিং। লক্ষ্য ছোঁয়ার ৩২ রান আগেই ডিজি জাদু-কে বেধে ফেলে ফাইনালে উঠেছে ঢাকা কিং। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছে রাজিন। ব্যাট হাতে ২৪ ও চার স্পেল বলে দুই উইকেট শিকার করেন ঢাকা কিং এর এই অল রাউন্ডার।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা কিংস দলনেতা ফরহাদ। সাজ্জাদের দল ডিজি জাদুর বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৫৫ রানে অলআউট হয় ঢাকা কিং। তারেক-রুবেল উদ্বোধনী জুটি ৫ম ওভারে দলকে অর্ধশতক উপহার দেয়।
তবে দলীয় ৬২ রানে ১৯ বলে ৩৭ রান করা তারেককে থামিয়ে দেন বোলার লিমন। স্লো-বলে সজোরে হাকিয়ে উইকেটে পৌঁছতে কুপোকাত হন অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রুবেল। তাদের সময়ে প্রযুক্তির হিসেবে দলের সংগ্রহ ১৬৫ হওয়ার কথা থাকলেও টেইল এন্ডারদের শক্তিতে তা কুলোয়নি। রিফাতের ব্যাক টু ব্যাক উইকেটে ইনিংসে শেষ পর্যন্ত স্লথ হয়ে যায় রানের গতি। শেষতেক ম্যাচ ফাইনালের প্রথম বলে উড়িয়ে মেরে ছক্কা হাকাতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন সাকিব ভূঁইয়া।
জবাবে ডিজি জাদুর সাজ্জাদ-নাহিদ জুটি শুরু থেকেই সাবধানী শুরু করলেও প্রথম ওভারেই ২ রানে লং অন পয়েন্টে সঞ্জুর তালুবন্দি হন নাহিদ। এরপর সাদ্দামের বলে খোঁচা দিয়ে মারতে গিয়ে উকেট কিপার সৈকতের কাছে ধরা পরেন সাইফুল সুজন। লিমন হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়ে ৮ বলে ১৭ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন দলীয় ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ। তারপর এক রান তুলে লিমনও অধিনায়কের পথ ধরেন। এফ এফ-সাদ্দামের বলিং নৈপুন্যে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দারুন চাপে পড়ে ডিজি জাদু। রাজিনের জোড়া শিকারে আর ব্যাটিং জাদু দেখাতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যানই। তবে আশরাফুলের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারের চতুর্থ বলে বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দলকে শতক ছুঁতে সক্ষম হয় ডিজি জাদু। কিন্তু পরের বলেই ব্যক্তিগত ৪৮ রানে বোল্ড হন তিনি। কিন্তু শেষ তক আর কেউই আশরাফুলকে অনুসরণ করতে পারেননি। সাত উইকেটে ১৩ ওভারে ১২৩ রান করলেও ক্রমেই বাড়তে থাকে রিকয়ার রান রেট। সাদ্দামের ইয়র্কার বলে দীর্ঘসময় উইকেট আগলে রাখা সোহেল আউট হলে দলীয় ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় ডিজি জাদু।