‘২-মেথোক্সিথানল’ নামে মহাকাশে নতুন এক অণুর সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আর এর খোঁজ মিলেছে এমন এক অঞ্চলে, যেখানে মূলত তারার উৎপত্তি ঘটে থাকে। এই অণুটি এর আগে মহাকাশে চিহ্নিত যে কোনো ‘মেথক্সি’ শ্রেণির অণুর চেয়ে জটিল।
বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস’ জানিয়েছে, ‘ম্যাসাচুসেট্স ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)’র অধ্যাপক ব্রেট ম্যাকগুয়ারের নেতৃত্বে গবেষকরা মহাকাশে এমন একটি নতুন অণুর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অনুসন্ধানে জন্য এমআইটি থেকে শুরু করে ফ্রান্স, ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া ও কোপেনহেগেনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষকদেরকে সমন্বিত করেছেন এ গবেষণার প্রধান লেখক ও এমআইটি’র স্নাতক শিক্ষার্থী জাখারি টি.পি. ফ্রাইড। তারা অণুটির গঠনকারী অঞ্চল ‘এনজিসি ৬৩৩৪১’-তে ‘২-মেথোক্সিথানল’-এর ২৫টি ঘূর্ণন রেখা শনাক্ত করে এই অণুর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
গবেষণায় ঘূর্ণন বর্ণালী বা বিভিন্ন অণুর ঘূর্ণন থেকে নির্গত বিশেষ ধরনের আলোর নমুনা পরীক্ষা করে গবেষণা দলটি মহাজাগতিক বস্তুটির আণবিক ‘পদচিহ্ন’ বা ‘বারকোড’ শনাক্ত পেরেছেন বলে উঠে এসেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজের প্রতিবেদনে।
গবেষণাটির খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ করার পর মহাকাশে ‘২-মেথোক্সিথানল’ খুঁজতে গবেষকরা ‘অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার/সাবমিলিমিটার অ্যারে (অ্যালমা)’ নামের রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে একটি তারা-গঠনকারী অঞ্চলে ‘২-মেথোক্সিথানল’ পাওয়া গেলেও আরেক তারা-গঠনকারী অঞ্চল ‘আইআরএএস ১৬২৯৩২৪২২বি’-এ তা পাওয়া যায়নি। অবশ্য কীভাবে বিভিন্ন পরিস্থিতি মহাকাশের রাসায়নিক নানা প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে, তা পরীক্ষা করার বিশেষ সুযোগ মিলেছে এ গবেষণায়। গবেষকদের মতে, এ ধরনের একটি জটিল অণুর সন্ধান থেকে মহাকাশে বিভিন্ন বস্তুর আণবিক জটিলতা সম্পর্কে নতুন তথ্য খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে নক্ষত্র গঠনের রসায়ন সম্পর্কেও তথ্য মিলতে পারে।