রোববার (৫ নভেম্বর) ছিলো মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের নভেম্বর মাসের এমপিওভুক্তির আবেদনের শেষদিন। কিন্তু এমপিওভুক্তি প্রক্রিয়াকরণ সার্ভার ‘মাদরাসা এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমে (মেমিস) প্রবেশ করতে বিপাকে পড়েছেন মাদরাসার নতুন শিক্ষক-কর্মচারীরা। ফলে চলতি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন জমা দিতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হয়েছে অনেককেই।
জানা গেছে, সকাল থেকে অনেক শিক্ষক মেমিস সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে তাদের আবেদন করাও হয়নি। তারপরও প্রায় ৯ হাজার শিক্ষক আবেদন গ্রহণ করেছে বলে চানিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অবশ্য রবিবার শেষদিনে একসঙ্গে বহু শিক্ষক-কর্মচারী ওয়েবসাইটে ঢোকায় সার্ভারে চাপ বেড়েছে এবং এতে জটিলতার সৃষ্টির কথা অস্বীকরা করেনি কর্তৃপক্ষ।
তবে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া নতুন শিক্ষকরা জানান, মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও আবেদন প্রতি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে হয়। নভেম্বর মাসে নতুন শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এমপিও আবেদন করছেন। অনেকে কাগজপত্র গুছিয়ে শেষদিন আবেদন করতে বসে হতাশ হয়েছেন। তারা সার্ভারে ঢুকতে পারেননি।
শিক্ষকরা আরও জানান, যদি তারা এ মাসে আর অবেদন করতে না পারেন, তাহলে চলতি নভেম্বরেও বেতন-ভাতা পাবেন না তারা। তাদের আবার ডিসেম্বর মাসে আবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বেতন-ভাতা বুঝে পেতে সময় লাগবে জানুয়ারি পর্যন্ত।
সময় কিছুটা বাড়িয়ে নভেম্বরে আরও দু-একদিন আবেদনের সময় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে চলতি মাসে এমপিওর আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের অর্থ শাখার সহকারী পরিচালক ও এমিপও কমিটির সদস্যসচিব লুৎফর রহমান।