১০০০ সদস্যের মাইলফলক উদযাপনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার ৫ম বর্ষপূর্তি পালন করলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ই-ক্যাব। শনিবার (৯ নভেম্বর) ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভারের ৪র্থ তলায় বিজিবি ব্যাঙ্কুয়েট হলে বেলা ১টা থেকে শুরু হয়ে এই জমকালো উৎসব চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কেক কেটে ই-ক্যাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন। এসময় সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার, ই-ক্যাব উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম, পোস্ট অফিসের ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু শেখর ভদ্র, বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনির, বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বাক্য সভাপতি ওয়াহেদ শরীফ, ই-ক্যাব উপদেষ্টা সাফকাত হায়দার বেসিস পরিচালক ফাহিম মাশরুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বেসিস সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ডিজিটাল কেনাকাটায় ই-ক্যাব দেশজুড়ে যে ভাবে সচেতনতা গড়ে তুলছে তার প্রশংসা করেন। অপরদিকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে, লজিস্টিক এবং বিশ্বাসের সমন্বয়ে ই-কমার্স ব্যবসার প্রসার ঘটছে।
২০২০ সালের মধ্যে ইন্টার অপারেটেবল পেমেন্ট গেটওয়ে তৈরি হবে। তখন অনলাইনে কেনকাটা আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
সংগঠনের অর্জন মহাসচিব আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, সংগঠন গঠনের আগে দৈনিক ডেলিভারি ছিলো হাতে গোনা। এখন আমাদের খাতের পণ্য ডেলিভারি প্রবৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ। প্রতিদিন ৪০ হাজারের মতো ডেলিভারি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০০ এর নিচে ছিলো। এখন ই-কমার্স সাইটের সংখ্যা ২ হাজারের ওপর। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে আরো ৫০ হাজার ব্যাবসায়ী।
তিন পর্বে অনুষ্ঠিত উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানে ইজিটেকআউট সেবার উদ্বোধন করে এসএসএল কমার্জ। পণ্য পৌঁছে দেয়ার মোবাইল ফ্রেইট সেবা উদ্বোধন করে সিএক্সপ্রেস। নতুন উদ্যোক্তার হিসাব রাক্ষাণা বেক্ষণের ক্লাউড ভিত্তিক সেবা উদ্বোধন করে এসএমই ভাই। ইন্টারঅ্যঅক্টিভ এলইডি বোর্ড উদ্বোধন করে সুমাইয়া টেক।
অনষ্ঠানে সবসময় ই-ক্যাবের সঙ্গে থাকার ঘোষণা দেয় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এবং দেশজুগে লজিস্টেক সেবা দেয়ার ঘোষণা দেয় পেপার ফ্লাই।
পুরো অনুষ্ঠানের প্লাটিনাম স্পন্সর ছিলো ই-ভ্যালি। এছাড়াও গোল্ডেন স্পন্সর ছিলো এডিএন টেলিকম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং এসএসএল কমার্জ।