বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও-তে করা আপিল শুনানির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) ২০২৪–২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ও শাখা কমিটি নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিসিএসের নির্বাচন বোর্ডের সচিব তোজাম্মেল উদ্দীন শিকদার স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিসিএসের নির্বাচন বোর্ডের বার্তায় বলা হয়েছে, নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ৭ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানির সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে পাওয়া যাবে। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি বিসিএসের ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে গত ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। বৈধ প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করে নির্বাচন বোর্ড।
তফসিল অনুযায়ী, ৯ মার্চ বিসিএসের নির্বাহী কমিটি ও ১১টি শাখার কমিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল। এই ডেটলাইন অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত ৭ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বিসিএসের নির্বাহী কমিটির সাতটি পদের জন্য ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিছু সময় পর জমা দেওয়ায় নির্বাচন বোর্ড দুজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। পরে তারা আপিল করলে আপিল বোর্ডও একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। রায় পাওয়ার পর ওই দুই প্রার্থী নির্বাচন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) বরাবর আপিল করেন।
ডিটিও ওই দুটি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সিদ্ধান্ত দেন। এই বিষয়ে পুনঃ শুনানির জন্য বিসিএসের নির্বাচন বোর্ড আবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করে। সেই আপিলের শুনানি হয় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ)। ৮ ও ৯ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ৯ মার্চ নির্বাচন করা সম্ভব না হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করতে হয়েছে নির্বাচন বোর্ড-কে।
এ ব্যাপারে বিসিএস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ কবির আহমেদ জানিয়েছেন, মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত দুই প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ডিটিওর কাছে আপিল করেছিলেন। যেহেতু নির্বাচনী কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি, তাই তারা আপিল করেছিলেন। বৃহস্পতিবার শুনাননি হলেও আগামী সপ্তাহের আগে ডিটিওর সিদ্ধান্ত জানা যাবে না।
তিন সদস্যের নির্বাচন বোর্ডের সদস্য সাইবার কমিউনিকেশনের প্রধান কার্যনির্বাহী মো. নাজমুল আলম ভুঁইয়া (জুয়েল) ও কম্পিউটার আর্কাইভসের স্বত্বাধিকারী মো. আমির হোসেন।
সাবেক বিসিএস সভাপতি এস এম ইকবালের নেতৃত্বে নির্বাচন আপিল বোর্ডে সদস্য হিসেবে আছেন মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান কার্যনির্বাহী ও সাবেক এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির ও অ্যাডভান্সড কম্পিউটার টেকনোলজির (এসিটি) স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী চৌধুরী মো. আসলাম।
কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বিসিএসের আরও ১১টি শাখা কমিটির নির্বাচনও একই সঙ্গে হচ্ছে। তবে ৯টি শাখার কমিটির জন্য সাতজন করে প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। রংপুরে ১৪ ও সিলেটে ১১ জন প্রার্থী থাকায় এই দুটি শাখায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার বিসিএসের মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১৫০ জন।