বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনে যৌথ অংশীদারিত্ব ও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিতস্কি।
আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকখানায় অনুষ্ঠিত দ্বি-পাক্ষিক এই বৈঠকে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ এবং রাশিয়ার দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি মি. অলেগ কজিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সঙ্গে আনা শুভেচ্ছা উপহার দিয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে আইসিটি সেক্টরে অবদানের প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী পলককে সাধুবাদ জানান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিতস্কি। রাশিয়ান বিনিয়োগকারীরা এই উন্নয়ন যাত্রায় অংশীদার হতে চায় বলেও আগ্রহ দেখান তিনি। এসময় হাইটেক পার্কের বিশেষায়িত জোনে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনা কোম্পানির বিপুল বিনিয়োগের উদাহরণ দিয়ে ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগের কথা তুলে ধরেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এর বাইরেও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুনত্ব এবং অগ্রগতির ক্ষেত্রে যে কোনো বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সহযোগিতাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই। আমাদের বিশ্বাস সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হবে। আর সহযোগিতার কোনো সীমানা নেই।
আইসিটি টাওয়ারে বৈঠকের পর সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্জিত ডিগ্রির সমতা বিধানের জটিলতা নিরসন করা এবং নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় সহযোগিতা ও মেডিক্যাল সায়েন্সের ডিগ্রির ক্ষেত্রে সুযোগ বাড়ানোর বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। ওই বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার এবং রাশিয়ার দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি মি. অলেগ কজিন উপস্থিত ছিলেন।