ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চল এবং বাংলাদেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত সুযোগ অন্বেষণের জন্য বেসিসকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর মধ্যে গত রবিবার (২০ মার্চ ২০২২) ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি অফিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য এবং পারস্পরিক স্বার্থের সকল বিষয়ে গভীরভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আগামীতে ডিজিটাল গভর্নেন্সের অগ্রাধিকার থাকবে উল্লেখ করে তিনি দেশের আইসিটি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে পৌঁছাতে বেসরকারি ও সরকারি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উন্নত আইসিটি জনবলের ওপর জোর দেন। রাষ্ট্রদূত সীমান্ত প্রযুক্তি এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। ইইউ রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সদস্য দেশ নবায়নযোগ্য শক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন, আপ-স্কিলিং এবং রি-স্কিলিং, উচ্চ প্রযুক্তির জন্য কিছু বিশেষ প্রোগ্রামের মতো প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিটি ২০২২ সালের জন্য ‘দ্য প্রোডাক্ট অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সেই সাথে সামঞ্জস্য রেখে, বেসিস সাতটি স্তম্ভের উপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে উন্নত করার জন্য কাজ শুরু করেছে। এগুলো হলো- মানবসম্পদ উন্নয়ন, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বিদেশী বাজার সম্প্রসারণ, মূলধন এবং আর্থিক প্রণোদনার সুযোগ বৃদ্ধি, স্টার্টআপের জন্য একটি সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করা, ডিজিটাল সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য নীতি প্রণয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রচার। বেসিস ২০২৪ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অবশ্যই ডিজিটাল গভর্নেন্সের সাফল্যের গল্প যেগুলো আমরা বাংলাদেশ ও পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে বাস্তবায়ন করেছি সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সাশ্রয়ী ও আন্তর্জাতিকমানে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইইউ প্রতিনিধি দলের দ্বিতীয় সচিব কোয়েন এভারার্ট, বাণিজ্য উপদেষ্টা আবু সৈয়দ বেলাল, বেসিসের পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু, তানভীর হোসেন খান, যুগ্ম সচিব এনামুল হাফিজ লতিফী এবং সহকারী ব্যবস্থাপক নাদিয়া তাবাসসুম।