অনলাইন দুনিয়ায় দেশকে নিরাপত্তাঝুঁকি মুক্ত রাখতে সদস্য প্রতিষ্ঠানের ১০০ প্রকৌশলীকে ইন্টারনেট প্রোটোকল সংস্করণ ৬ (আইপিভি৬) চালুর কারিগরি হাতেখড়ি দিলো ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহায়তায় রাজধানী ঢাকার বনানীস্থ একটি হোটলে অনুষ্ঠিত তিন দিনের এই কর্মশালা শেষ হয় সোমবার বিকেলে।
কর্মাশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র ইএন্ডও বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: এহসানুল কবির। বক্তব্যে তিনি আগামীতে আইপিভি ৬ সঞ্চালনে সক্ষম নয় এমন রাউটার আমদানি করার ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারিতে আনা হবে জানান।
প্রশিক্ষণ আয়োজনে আইএসপিএবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আইপিভি সিক্স অবশ্যই স্থাপন করতে হবে, আইপিভি সিক্স স্থাপন করার জন্য এনটিটিএন, আইআইজি, ন্যাশনওয়াইড ও বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরী আছে শুধু সরকারী ও থানা পর্যায়ে অনেক পিছিয়ে আছে। আমরা আশা করি এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে দ্রুত আইপিভি সিক্স স্থাপন করতে পারব। এ জন্য আইএসপিএবিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে আইপিভি সিক্স স্থাপনের উপর ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করতে হবে।
এছাড়াও অ্যাক্টিভ শিয়ারিং এর দাবিটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইসিটি উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দেন বিটিআরসি মহাপরিচালক। এসময় বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকায় স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে ১০% রেভিনিউ দাবি করা হচ্ছে তা আলোচনার মাধ্যম সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি।
ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধে পর্যাপ্ত লগ সার্ভার স্থাপন করে ডাটাগুলো ছয়মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এহসানুল কবির আরো বলেন, ‘প্রত্যেক আইএসপি’র অবশ্যই নিজেদের আইপি থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইএসপিএবি সভাপতি মো: ইমদাদুল হক বলেন, আইপিভি সিক্স স্থাপনে টেনিং প্রোগ্রামের জন্য এপনিক আমাদেরকে ট্রেইনার পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছে। আমরা আশা করি, প্রতি বছর বেশী বেশী ট্রেনিং প্রোগ্রাম করার জন্য এপনিক আরো সহযোগিতা করবে। তিনি আরো বলেন বেশির ভাগ ওয়াইফাই রাউটার গ্রাহক পর্যায়ে আইপিভি সিক্স সার্পোট করে না। আইপিভি ৬ সঞ্চালনে সক্ষম নয় এমন ওয়াইফাই রাউটার আমদানি বন্ধ করার জন্য আইএসপিএবির প্রতিনিধি সহ বিটিআরসির সাথে একটি টিম গঠন করা দরকার । টিমের মতামতের ভিত্তিতে রাউটার আমদানি করার কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর ঢাকা বাইরে বিভাগীয় শহরে ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজন করার কথও জানান এই ইন্টারনেট ব্যাবসায়ী নেতা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আইএসপিএবির সেক্রেটারী জেনারেল নাজমুল করিম ভূঁঞা বলেন, তিনদিন ব্যাপি এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে ১৮ কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করি। তিনি প্রথান অতিথির জ্ঞাতার্থে আইএসপি সেবা প্রদানে সিটি কর্পোরেশন , পৌর এলাকা ক্যাবল কাটা ও প্রত্যেক ইন্টারনেট গ্রাহক অনুযায়ী ১০% রেভিনিউ দাবি এবং ডিস ব্যবসায়ী যেন ইন্টারনেট ব্যবসা না করতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
চৌধুরি দৌলত মুহাম্মাদ জাফরির উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইএসপিএব ‘র যুগ্ম মহাসচিব মো: আব্দুল কাইউম রাশেদ। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক সাকিফ আহমেদ ও ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন এ্যপনিক প্রশিক্ষক মো: আব্দুল আউয়াল ও মো: আব্দুল্লাহ আল নাছের।