জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর)। দিবসটি উপলক্ষে ‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ড: প্রকৃতিও যেন কেঁপে উঠেছিল সেইরাতের বর্বরতায়’ শিরোনামে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ‘পৃথিবীর আর একটি শিশুরও যেন এমন নির্মম মৃত্যু না হয়’— স্ট্যাটাসে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।।
পোস্টে একটি ভিডিও যুক্ত করে তিনি লিখেছেন,
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা যখন এই পোস্ট দেন; ঠিক তখনই ‘শেখ রাসেল/ নির্মলতার প্রতীক/ দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে পোস্ট করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এদিকে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন আওয়ামী লীগ আগামীকাল সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, শিক্ষার বিভিন্ন অধিদফতর, সংস্থা ও দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাছরে চারা রোপণ ও দেয়ালিকা প্রকাশ করবে। পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য-‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।