পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার মূলধন সংগ্রহের অনুমতি পেয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
বুধবার অপারেটরটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আর এর মাধ্যমে রবি আজিয়াটা দেশের সর্ববৃহৎ আইপিওধারী হলো বলে জানিয়েছে ইস্যু ব্যবস্থাপক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে, যা দিয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইপিও খরচ পরিচালনা করা হবে।
এ টাকা তোলার জন্য কোম্পানিটি ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করবে। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ইস্যু করা হবে।
আইপিও আবেদনে অনুমোদনের জন্য বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রবি আজিয়াটা।
এক বিবৃতিতে কোম্পানির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, “এটি নিঃসন্দেহে রবির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মূলধনী শেয়ার হিসেবে আমরা তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
“শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুমোদন পাওয়ার মাধ্যমে রবিতে জনগণের অংশীদার হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।”
এ অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের কাছে রবির যে ‘কিছু প্রত্যাশা’ ছিল ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে’ তা সদয় বিবেচনার অনুরোধ জানান তিনি।