চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গ্রামীণফোন আয় করেছে মোট ১০ হাজার ৭৫০কেটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই আয় ৯.৫% বেশি। একই সময়ে অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা ৬% বেড়ে পৌঁছেছে ৭কোটি ৫৭লাখে ।
এছাড়াও বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সংখ্যাটি ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের থেকে ৬% বেশি। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ লাখ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৫৩.৭% গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। সব মিলিয়ে ১৯.৯% মার্জিন সহ তৃতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী নীট মুনাফা করেছে ৭৩০ কোটি টাকা। এই সময়কালের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫.৩৮ টাকা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) জিপি হাউজে অপারেটরটির তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির সিএফও ইয়েন্স বেকার। এসময় বক্তব্য রাখেন গ্রামীণফোন সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি।
গ্রামীণফোন এর সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, “প্রতিকূল নিয়ন্ত্রকমূলক পরিবেশ থাকা সত্বেও আমরা তৃতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা এনওসি প্রদান বন্ধের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গ্রামীণফোন দেশের ৯৯.৫% গ্রাহককে তার নেটওয়ার্কে আওতায় মোবাইল সেবা প্রদান করছে। ৬৯% জনগোষ্ঠী আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ভয়েস সেবা থেকে আমাদের প্রাপ্ত আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার সহ ইন্টারনেট ভিত্তিক আয় বৃদ্ধিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের গ্রাহক সংখ্যার ৫৩.৭% বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।”
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, “২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন উল্লেখযোগ্য মার্জিন সহ উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছে গ্রামীণফোন।”