স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের ওয়েবসাইট/পোর্টালসমূহকে আরও আধুনিক ও নাগরিকবান্ধব করে তুলতে পোর্টাল গাইডলাইন প্রস্তুতকরণ বিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর সচিব মো: সামসুল আরেফিন। সভাপতিত্ব করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) নাহিদ সুলতানা মল্লিক ও এটুআই-এর (যুগ্মসচিব) যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক মোঃ ছাইফুল ইসলাম।
এই কর্মশালার মাধ্যমে পোর্টাল অভিন্ন কাঠামোর গাইডলাইনের খসড়া নিয়ে পর্যালোচনা ও সার্ভিস লিস্ট সংগ্রহের মাধ্যমে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হয়। মন্ত্রণালয় এর ডাটা সমন্বয়, ডাটা রিপ্রেজেন্টেশন, নতুন কনটেন্ট সংযুক্তকরণ এবং কনটেন্ট সংযোজন ও বিয়োজন নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে রিলেশনশিপ ডেভেলপমেন্ট ও জব পোর্টাল ডাটা সোর্স নিশ্চিতকরণ যেমন: পোর্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও জব পোর্টাল ডাটা আইডেন্টিফিকেশন এন্ড সলভ করা হবে। এছাড়াও মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন কার্যালয়ের পোর্টালের তত্ত্বাবধান, মনিটরিং ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ সম্পর্কিত কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় পাশাপাশি আসন্ন চাহিদা উপযোগী সার্বিক মতামত গ্রহণ ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সকল মন্ত্রণালয় এর পোর্টালসমূহের অভিন্ন কাঠামোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জনাব মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন, ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন সরকার এবং নাগরিকদের মধ্যে আন্তরিক সেতুবন্ধন হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে।’ নাগরিকদের সহজভাবে তথ্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাদের তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি আধুনিক ও নাগরিকবান্ধব তথ্য বাতায়ন তৈরি করার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন এর মাধ্যমে দেশের সকল নাগরিক সরকার প্রদত্ত সকল সেবা ও তথ্য পাচ্ছেন। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী একটি স্মার্ট পোর্টাল তৈরি করাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
এছাড়া ন্যাশনাল পোর্টাল ইমপ্লিমেন্টেশন স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান (উপসচিব) বলেন, ‘এই কর্মশালার পূর্বে আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে সাড়ে ছয় লাখ কি-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করেছি, পিপলস পার্টিসিপেশন টুল ব্যবহার করে জনগণের মন্তব্য নেয়া হয়েছে এবং গুগল ফর্ম এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছি। বর্তমানে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডিজিটাল সেবাগুলো আরও সহজলভ্য করার জন্য এই কর্মশালার মাধ্যমে মন্ত্রণালয় এর চূড়ান্ত গাইডলাইন প্রস্তুত করা হবে।’ কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রশাসনিক ও কারিগরি ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?