তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম প্রতিবন্ধীদের অক্ষমতা না দেখে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে খুঁজে বের করতে হবে উল্লেখ করে বলেছেন তারা সমাজের বোঝা নয় বরং সহযোগিতা পেলে তারাও দেশের সম্পদে রূপান্তরিত হবে।
রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক মিলনায়তনে চীনের সাথে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত” যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা ২০২২” এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ৩০ মে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশেষভাবে সক্ষম/প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যক্তি ও সামাজিক মনোভাবের পরিবর্তন জরুরি।
তিনি আরো বলেন, সরকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি চাকুরি উভয়ক্ষেত্রেই কোটা বরাদ্দ রাখাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ,দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে “প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা” নিশ্চিত করে না আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
‘আইসিটি বিভাগ বিশেষভাবে সক্ষম ভাই-বোনদের সক্ষমতা বাড়িয়ে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় অংশগ্রহণের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে প্রতিবন্ধী বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, আইটি প্রতিযোগিতা , চাকরি মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তবে এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণে দেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সক্ষমতা এখনো সীমিত।’ সক্ষমতা বাড়াতে এবং আমাদের তৈরি সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য প্রতিবন্ধী ভাই বোনদের আইসিটি চর্চায় আরো মনোযোগী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পরে বিভিন্ন আইটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুব প্রতিবন্ধীরা এ আইটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক এর ভাইস চান্সেলর অধ্যাপক ড. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান বোর্ড অব ট্রাস্টি এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সিএসআইডি’র নির্বাহী পরিচালক, খন্দকার জহুরুল আলম।