নয় মাসের প্রতিযোগিতা শেষে ২ নভেম্বর, মঙ্গলবার ঘোষণা করা হলো প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিটশনের বিজয়ীদের নাম। হুয়াওয়ের আয়োজনে দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ৯০২ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ১৫জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলো চূড়ান্ত পর্বে। এদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বুয়েটের সোহান সালাহউদ্দিন মুগ্ধ, রাবিব ইবরাত ও মোঃ তাহমিদুর রাফিদ।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ কুয়েটের মোঃ কাফ শাহরিয়ার, হাসান মেসবাউল আলী তাহের এবং সুহানা বিনতে রশীদ। আর সেকেন্ড রানার্সআপ হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ আহমেদ নওফেল, মোঃ তাকিউল হাসান সাকিব এবং মোঃ সেলিম রেজা জিম।
বিজয়ীদের নাম ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল এই গালা ইভেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আইসিটি বিভাগের ইডিসি প্রকল্পের অধীনে ৪৯২টি ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিংসেন্টার স্থাপনের কথা জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। দেশে এখন ২০ লাখ আইটি কর্মী রয়েছে জানিয়ে আগামী চার বছরের মধ্যে এই সংখ্যা ৩০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পলক আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ডিজিটাল রূপান্তরে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া আজ আর কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমরা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। বাস্তবিক অর্থেই টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন আমাদের তরুণেরাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বক্তব্যে হুয়াওয়ের উদ্ভাবনী সল্যুশন নিজে ব্যবহার করার পাশাপাশি বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম অংশীদার হিসেবে দেশের তৃণমূলে ডিজিটাল সংযুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটির অবদানের কথাও উল্লেখ করেন পলক।
তিনি বলেন, ইনফো সরকার ২ প্রকল্পের অধীনে হুয়াওয়ের সহযোগিতাতেই এখন সবগুলো ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ইন্টারনেটে সংযুক্ত। হুয়াওয়ে এখন আমাদের ডিজিটাল সমাজ ও জীবনের অংশ।
অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিয়েট্রিস কালদুন। উন্নত শিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্বনেতৃত্বে যেতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আয়োজনকে আক্ষরিক অর্থে প্রতিযোগিতার বলা হলেও এটি আসলে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
হুয়াওয়ে টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও ঝ্যাং ঝেনজুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তড়িৎ ও যোগাযোগ কৌশল বিভাগের প্রধান কাজী দেলোয়ার হোসাইন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আজকের বিজয়ীরা আগামী ২০২২ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য হুয়ওয়ে আইসিটি স্কিল রিজিওয়ানলা চ্যালেঞ্জে অংশ নেবে। এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন দলকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অফিসে।