আগামী ৫ বছরে দেশের ই-কমার্স খাতে আরো ৫ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামীতে ই-কমার্সই অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হবে।
রবিবার (৮ নভেম্বর) ই-ক্যাবের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে করোনাকালীন সময়ে সেবা চলমান রাখায় ১০০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ও ১২ জন ব্যক্তিকে স্বীকৃতি দেয় ই- ক্যাব।
রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাবের সদস্যরা ‘মুক্তি যোদ্ধা’র ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করেন তিনি।
বক্তব্যে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে নতুন করে আরো ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও ভবিষ্যত বাণী করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, আজকের ই-ভ্যালি, চালডাল ৫-১০ বছরের মধ্যে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হবে। তারাও আলীবাবা, আমাজনের মতো হবে।
ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর উদ্দিন আহমেদ, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ৩০ টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। তুলে ধরা হয় করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাব ও এর সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের পরবর্তী কর্মসূচী ‘‘ই-জিনিয়াস’’ হান্ট এর অ্যাপ উদ্ধোধন করেন প্রধান অতিথি।
এসময় তিনি বলেন, ইকমার্স খাতে উদ্যোক্তাদের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল হিসেবে ১০ লক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় , করোনার ৮ মাসে ই-কমার্স সেক্টরে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা, বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ডেলিভারী হচ্ছে প্রতিদিন, ৫০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরী হয়েছে, এযাবত মোট ৫ হাজার তরুনকে দেয়া হয়েছে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, ১৬ হাজার কোটি টাকার সার্বিক ডিজিটাল লেনদেন এর মাধ্যমে ৬০ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করেছে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো।