আগামীতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন বিভিন্ন সংস্থার ১৬২টি সেবা মিলবে অনলাইনে। অধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১টি, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতরের ২১টি, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার ২৬টি, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩০টি এবং বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের ২১টি সেবা ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
রোববার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইলাজেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক প্রধান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার-এর সভাপতিত্বে এটুআই-এর চীফ টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ আরফে এলাহী ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সেবাসমূহকে মাইগভের আওতায় র্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম সম্পর্কিত’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাইগভ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মাত্র দুই সপ্তাহে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৩৩টি এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর ১২৯টি অর্থাৎ মোট ১৬২টি সেবার ডিজিটাল সেবা রূপান্তর করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে।
এর ফলে অত্যন্ত সহজেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবার আবেদন, সেবা সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট, সেবার অগ্রগতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহীতা নিজে ৩৩৩ কল সেন্টারে কল করে অথবা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সেবা নিতে পারবেন।
তবে যে সেবাগুলো এখনো ডিজিটাল রূপান্তর অব্যহাত রাখলে মন্ত্রণালয়ের দক্ষতা আরো বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচারের জন্য বাজেট প্রণয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন এটুআই পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী । সংযুক্ত ছিলেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নান।