তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার নীতি অনুসরণ করে দেশে প্রযুক্তি ও বিশেষায়ণ সুবিধার মাধ্যমে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। প্রযুক্তি সুবিধার মাধ্যমে তিনি এই সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছেন। এখন মানুষ টেলিমেডিসিন সুবিধা গ্রহণ করে খুব সহজেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারছেন। আমরা সময়ে-সময়ে মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে মানুষের কাছাকাছি চিকিৎসা সেবাকে নিয়ে গেছি।
শুক্রবার মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকার সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে আল বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বক্তব্য শেষে ক্যাম্পে আগত জনসাধারণের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এবং ডাক্তারদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন স্থানীয় সাংসদ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ৫০ বছর আগে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির অধিকার উপলব্ধি করেছিলেন। তাই তিনি স্বাস্থ্যসহ পাঁচটি মৌলিক অধিকার প্রাপ্তির অধিকারকে সংবিধানে সংযোজন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয় জুড়ে ছিলো দেশের মানুষের কল্যাণ চিন্তা। বঙ্গবন্ধু নিজের দূরদর্শীতা দিয়ে জনগনের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করেন। এসব অধিকার প্রাপ্তির সুযোগ তৈরী করে জনগণের সমৃদ্ধি আর সুন্দর জীবন যাপন নিশ্চিত করেন তিনি।
পলক জানান, সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিগত ২০ বছরে একটি এম্বুলেন্স না থাকলেও বিগত ১৩ বছরে এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক তিনটি এম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে। আজকের ক্যাম্পে তিন হাজারের মতো রোগী নিবন্ধন করেছেন। রাত হলেও সকলকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঔষধ দেয়া হবে। যদি কারো কারো চোখের ছানি অপারেশন করার দরকার হয় তাও করা হবে। সিংড়ায় না হলেও রাজশাহী বা ঢাকায় নেওয়ার দরকার হলেও তা করা হবে।
উপস্থিত বয়োজ্যেষ্ঠ রোগীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার পিতা বেঁচে থাকলে আমি সেবা করতে পারতাম। সেই সুযোগ পাইনি। আমি আপনাদের মুখচ্ছবির মধ্যে আমার পিতার মুখচ্ছবি দেখতে পাই। আমি আপনাদের সেবার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। আপনারা দোআ করবেন যেনো আমি আমৃত্যু নিজেকে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত রাখতে পারি। আমরা কেবল উন্নত আধুনিক সিংড়াই গড়বো না একে মানবিক সিংড়া হিসেবে গড়ে তুলবো।
আল বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আহমেদ তাহির হামিদ এবং সদস্য ড. সালমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন। সিংড়া পৌর মেয়ার মোঃ জান্নাতুল ফেরদৌস ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও চিকিৎসকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাম্প উদ্যোক্তা আল বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন যদি সিংড়ায় স্থায়ী চক্ষু হাসপাতাল করতে চায় তবে সে জন্য তাদের জমির সংস্থান করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী।