অ্যাপটি বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন অ্যাকাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্প যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ‘বিনিময়’ অ্যাপটি। তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য রয়েছে ওরিয়ন ইনফরমেটিকস লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ লিমিটেড, ফিনটেক সলিউশন লিমিটেড ও সেইন ভেঞ্চারার্স লিমিটেড। প্রাক্বলিত ব্যয় ৫৫ কোটি টাকা হলেও এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিনিময় ব্যবহার করে যে কোনো অঙ্কের লেনদেনে অর্থ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান আইডিটিপিকে ৫০ পয়সা দেবে। আর এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠাতে খরচ হবে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। ব্যাংক থেকে পিএসপি ও এমএফএসে টাকা পাঠাতে খরচ দিতে হবে না। তবে যেই পিএসপি ও ব্যাংকে টাকা যাবে, তাদের দশমিক ৪৫ শতাংশ হারে মাশুল দিতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা যাবে, সেই প্রতিষ্ঠান এই মাশুল পাবে।
এই সেবার মাধ্যমে পিএসপি থেকে কোনো ব্যাংকে টাকা গেলে প্রতি হাজারে গ্রাহককে গুনতে হবে ১০ টাকা। পিএসপি থেকে পিএসপি ও এমএফএসে টাকা পাঠালে গ্রাহককে দিতে হবে প্রতি হাজারে পাঁচ টাকা। এ ক্ষেত্রে যেই পিএসপি ও এমএফএসে টাকা যাবে, তাদের দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মাশুল দিতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা যাবে সেই প্রতিষ্ঠান এই মাশুল পাবে।
একইভাবে এমএফএস থেকে ব্যাংকে টাকা গেলে প্রতি হাজারে গ্রাহককে দিতে হবে ১০ টাকা। এমএফএস থেকে পিএসপি ও এমএফএসে টাকা পাঠালে গ্রাহকের প্রতি হাজারে খরচ পড়বে পাঁচ টাকা করে। এ ক্ষেত্রে যে পিএসপি ও এমএফএসে টাকা যাবে, তাদের দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মাশুল দিতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা যাবে সেই প্রতিষ্ঠান এই মাশুল পাবে।
অ্যাপটি ব্যবহার করতে চাইলে গ্রাহককে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে গ্রাহকের নামের পরে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্র্যানজেকশন প্ল্যাটফর্ম-আইডিটিপি-তে যুক্ত হয়ে একটি আইডি তৈরি হবে। এরপরে গ্রাহক দুটি অপশন দেখতে পারবেন সেন্ড মানি ও রিসিভ মানি।
কাউকে টাকা পাঠাতে চাইলে সেন্ড মানি অপশনে গিয়ে নিজের যেসব এমএফএস অ্যাকাউন্ট (বিকাশ, রকেট) অ্যাকাউন্ট আছে, তা থেকে একটি বেছে নিতে হবে। যাকে টাকা পাঠানো হবে তার মোবাইল নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যদি বিনিময় আইডি থাকে, তাহলে সেই নম্বর দিয়ে টাকা পাঠানো যাবে। যাকে পাঠানো হয়েছে তিনি রিসিভ মানি অপশনে গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে থাকা যেকোনও এমএফএস আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নম্বরে টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।