কিশোরগঞ্জের হাওরে ঘুরতে গিয়ে ট্রলারে আটকে পড়ে জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ১২ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং দুজন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
জেলার মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের ডুবি এলাকা থেকে চামড়া নৌপুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিরাপদে গন্তব্যে পাঠায়।
চামড়াঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. এনামুল হক জানিয়েছেন, নৌকায় কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীও ছিলেন। এক পর্যায়ে আতংকে দুই শিক্ষার্থী নৌকা থেকে পানিতে লাফিয়ে পড়েন। আশপাশে টর্চলাইট জ্বালাতে দেখে ডাকাত হামলা করতে পারে বলেও ভয় পান। এ সময় এক শিক্ষার্থী ৯৯৯-এ কল করে তাদের উদ্ধারে পুলিশের কাছে সাহায্য চান। বিষয়টি জানানো হয় করিমগঞ্জের চামড়াঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে। খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের নৌকাটির অবস্থান জানতে পারে। রাত একটার দিকে তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এসআই মোহাম্মদ এনামুল হক আরও জানান, শিক্ষার্থীরা পুলিশকে বলেছে, তারা ডাকাত দলের হামলার আতঙ্কে ছিল। তবে তাদের নৌকায় কোনো হামলা হয়নি।
প্রমঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ১৪ জন শিক্ষার্থী হাওরের অলওয়েদার সড়কে ঘুরতে যান। তারা করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা থেকে একটি ট্রলার ভাড়া করে মিঠামইনে নেমে অলওয়েদার সড়কে ঘোরাঘুরি করেন। সন্ধ্যার পর সেখান থেকে ফেরার পথে ঢেউয়ের কবলে পড়েন। রাতে মিঠামইন উপজেলার হাসনপুর সেতুর কাছে তাদের বহনকরী ট্রলারটি কম পানিতে আটকা পড়ে। এ সময় ভয়ে তারা চিৎকার শুরু করলেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছিলেন না।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কেউ বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।