রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘চাহিদার তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা কম। মাত্র ৬ হাজার টিকিটের জন্য ২ লাখ মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। অনলাইনে টিকিটের জন্য ৬ কোটি মানুষ প্রতিদিন ওয়েবসাইট হিট করছে। সবাই টিকিট পাবেন না, এটাই তো স্বাভাবিক।’
শনিবার (২ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক ৫০টি মালবাহী ট্রলি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তেরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ডিজিটাল অপব্যবহার হচ্ছে; এটা রোধে আমরা কাজ করবো।’
গত ঈদুল ফিতরে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে অব্যবস্থাপনা ছিল স্বীকার করে মন্ত্রী বলেছেন, ‘গত ঈদে অনলাইনে (টিকিট প্রাপ্তির বিষয়ে) বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এবার এখন পর্যন্ত সে ধরনের অভিযোগ পাইনি। গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকেই অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটতে পেরেছেন। তবে অনলাইনে কোনও ফাঁকফোকর পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার মিজানুর রহমান ভূইয়াসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলা বলেন, ৪০ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং সেক্টরে আমরা নাম্বার ওয়ান। সারাদেশ একটি মেডিকেল কলেজ, ৫টি নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ ১৯টি হাসপাতাল আছে। জাতির প্রয়োজনে সব সেক্টরে সহযোগিতা করবে ইসলামী ব্যাংক। আজকে তারই ধারাবাহিতায় রেলওয়ের যাত্রীদের জন্য ট্রলি উপহার দিচ্ছি।
এদিকে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আজহাকে কেন্দ্র করে শনিবার (২ জুলাই) সকাল ৮টার কিছু সময় পর কমলাপুর রেলস্টেশনে দ্বিতীয় দিনের মতো অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ওইসময় বেশিরভাগ লোকই লাইনে দাঁড়ানোর পরও টিকিটের প্রত্যাশায় অনলাইনে চেষ্টা করছেন। প্রায় সবার হাতেই মোবাইল, সবাই চেষ্টা করছেন। ‘সুযোগ’ হাতছাড়া না করতে লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই ঢুঁ মারছেন অনলাইনে। রেলওয়ের ই-টিকিট ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে দেখা গেছে তাদের অধিকাংশকেই।