‘অকার্যকর’ এক নাসা স্যাটেলাইট পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে। যদিও নাসা জানিয়েছে, এই বয়স্ক স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ কারও উপরে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
নাসা আরও জানিয়েছে, ২৪৫০ কিলোগ্রামের স্যাটেলাইটটির বেশিরভাগ অংশই পুনঃপ্রবেশের সময় পুড়ে যাবে। যদিও তার কিছুটা অবশিষ্ঠ থাকতে পারে বলে যোগ করেছে নাসা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ দাবি করেছে, সায়েন্স স্যাটেলাইটটি রবিবার রাতে নেমে আসতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে, স্যাটেলাইটের পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে ১৭ ঘণ্টার কাছাকাছি সময় নেবে।
তবে ক্যালিফর্নিয়ার অ্যারোস্পেস কর্পের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সোমবার সকালে এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে পারে। স্যাটেলাইটটির গিভ অর টেক টাইমিং ১৩ ঘণ্টার কাছাকাছি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। স্যাটেলাইটটি আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার উপর দিয়ে যাবে।
১৯৮৪ সালে অ্যাব্রড স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জারে লঞ্চ করা হয়েছিল এই আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট বা ইআরবিএস। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিলো, স্যাটেলাইটটি দুই বছরের বেশি কাজ করবে না। ২০০৫ সালে অবসর নেওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত এই স্যাটেলাইট ওজ়ন এবং অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় পরিমাপগুলো নিখুঁতভাবেই করেছে। পৃথিবী কীভাবে সূর্য থেকে রেডিয়েটেড এনার্জি অ্যাবজ়র্ব করেছে, স্যাটেলাইটটি তাই স্টাডি করেছিলো।
স্যালি রাইড, প্রথম মার্কিন মহিলা হিসেবে যিনি মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন, তিনিই এই স্যাটেলাইটটিকে অরবিটে পাঠিয়েছিলেন শাটলের রোবট আর্মের মাধ্যমে। এই মিশনটি একজন মার্কিন মহিলার প্রথম স্পেসওয়াকও ছিল, যাঁর নাম ক্যাথরিন সুলিভান। এটিই এমন একটি মিশন যাতে দুই মহিলা মহাকাশচারী একসঙ্গে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন।
ডিবিটেক/বিএমটি