কোনো কলকে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত বা স্প্যাম মনে হয় তাহলে লাল সতর্কবার্তার মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেবে গুগল ভয়েস। এক ব্লগ পোস্টে গুগল জানায়, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের গতানুগতিক ফোন অ্যাপে থাকা উন্নতমানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এইসব ‘স্প্যাম’ শনাক্ত করা যাচ্ছে।
ভয়েস সেবায় ‘স্প্যাম লেবেল’ চালু হলে, কোনো কল আসলেই স্প্যাম কি না, ব্যবহারকারী সেটি নিশ্চিত করার সুযোগ পাবেন। এমন ঘটলে, ভবিষ্যতে ওই নাম্বার থেকে আসা কলগুলো চলে যাবে ব্যবহারকারীর ভয়েসমেইলে। অন্যথায়, ওই নাম্বার থেকে আসা ভবিষ্যতের কোনো কলে লেবেল থাকবে না।
প্রযুক্তি সাইট দ্য ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যবহারকারী যদি স্প্যাম কলের সতর্কবার্তা পান তাহলে তিনি কলটি আসলেই স্প্যাম কি না তা চিহ্নিত করার সুযোগ পাবেন। যদি ব্যবহারকারী কলটিকে স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত করেন তাহলে ভবিষ্যতে একই নম্বর থেকে আসা কলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভয়েস মেইলে স্থানান্তরিত হবে। তবে কলটিকে স্প্যাম নয় বলে চিহ্নিত করলে ভবিষ্যতে একই কলের জন্য আর সতর্কবার্তা দেখবেন না ব্যবহারকারী।
গুগল বলছে, স্বয়ংক্রিয় ‘স্প্যাম লেবেলিং’ ব্যবস্থা চালু করতে ব্যবহারকারীকে অ্যাপের সেটিংয়ে থাকা সিকিউরিটি অপশনে গিয়ে ‘ফিল্টার স্প্যাম’ ফিচারটি বন্ধ করতে হবে।
কয়েক বছর ধরেই গুগল ভয়েস স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্যাম কলকে শনাক্ত করে ভয়েস মেইলে স্থানান্তর করছে। কিন্তু যারা অপরিচিত নম্বর থেকে প্রচুর প্রয়োজনীয় কল পেয়ে থাকেন তাঁদের জন্য ফিচারটি বেশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে ব্যবহারকারীকে সেটিংসের সিকিউরিটি অপশন থেকে স্প্যাম ফিল্টার অপশনটিই বন্ধ করে দিতে হয়। তবে নতুন ফিচারের ফলে ব্যবহারকারীরা সতর্কবার্তা দেখার পাশাপাশি স্প্যাম কল আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারবেন।
স্প্যাম কল নিয়ন্ত্রণে আরও উন্নত কিছু ফিচারও যোগ করা হয়েছে যেগুলো আপাতত শুধু গুগলের পিক্সেল ফোন ব্যবহারকারীরা পাবেন। তবে স্প্যাম সতর্কবার্তার সুবিধাটি গুগল ভয়েস অ্যাকাউন্ট থাকা যে কেউ পাবেন। গুগল জানায়, জানুয়ারির ১৩ তারিখ নাগাদ এই সুবিধা সব অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী পেয়ে যাবেন।