রাশিয়ার সামরিক ড্রোনগুলোকে প্রতিহত করতে এক হাজার চারশ ড্রোন কিনেছে ইউক্রেন। এগুলোর বেশির ভাগই নজরদারি ড্রোন। তবে কিয়েভের পরিকল্পনা, এগুলো সামরিক ড্রোনে পরিণত করে রাশিয়ার ড্রোনগুলো ঠেকানো। খবর আল জাজিরা।
ইউক্রেনের প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী মিখাইলো ফেদোরভ বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বর্তমান ইন্টারনেটের যুগের প্রথম বড় কোনো যুদ্ধ। তার মতে, সামরিক ড্রোন ও স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবস্থা সংঘাতের গতি ও চিত্র বদলে দিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর গত অক্টোবর পর্যন্ত সেভাবে বিমান হামলা চালায়নি রাশিয়া। অক্টোবরের মাঝামাঝি এসে বিমান হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। এ সময় বিমান হামলার পাশাপাশি শুরু হয় ড্রোন হামলাও। বিস্ফোরকবোঝাই চালকবিহীন ইরানের তৈরি এসব ড্রোনের নাম ‘কামিকাজে’।
গত ১০ অক্টোবর ইউক্রেনের রাজধানীতে প্রথমবারের মতো ইরানের তৈরি আত্মঘাতী দিয়ে ড্রোন হামলার কথা জানা যায়। এরপর ১৭ তারিখেও আকাশপথ দিয়ে একের পর এক হামলায় কেঁপে ওঠে কিয়েভ। এই ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের বহু শহরের জ্বালানি স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেয় পুতিন বাহিনী।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ইউক্রেন সর্বশেষ যে ড্রোনগুলো কিনেছে, তার মধ্যে পোল্যান্ডের তৈরি ‘ফ্লাই আই’-এর মতো নজরদারি বা গোয়েন্দা ড্রোন রয়েছে। এসব ড্রোন প্রধানত যুদ্ধের ময়দানে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়।
ডিবিটেক/বিএমটি