ভারতে ৫জি তরঙ্গের সবচেয়ে বড় বরাদ্দ পেয়েছে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিল্যায়্যান্স জিও। দেশটির কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, অম্বানীর সংস্থা ফিফথ জেনারেশন বা ৫জি স্পেকট্রামের ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে। আগামী ১০ অগস্টের মধ্যে ৫জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করে দেওয়া হবে। ৫জি পরিষেবা চালু হলে দেশে টেলিকম সার্ভিসের মানোন্নয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে, এই দৌড়ে থাকা আরেক শিল্পপতি গৌতম আদানি থেমেছেন ২১২ কোটি টাকার বরাতেই। তরঙ্গ নিলামে মোট ১০টি ব্যান্ডের ৭২ হাজার ৯৮ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম ছিলো। এর মধ্যে ৭১ শতাংশই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। গত ২৬ জুলাই শুরু হয় স্পেকট্রামের নিলাম। টেলিকম মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথম দিনেই ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা দর ওঠে নিলামে। সোমবার ৪০ রাউন্ড নিলামের পর স্পেকট্রাম বন্টনের প্রক্রিয়াটি শেষ হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে দেড় লক্ষ কোটি টাকার স্পেকট্রাম বিক্রি হয়েছে।
এর মধ্যে রিল্যায়্যান্স বিভিন্ন ব্যান্ডের ৭০০ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম কিনেছে। এই স্পেকট্রামের সাহায্যে ৬-১০ কিলোমিটার পর্যন্ত সিগন্যাল পাওয়া যাবে। আদানির সংস্থা কিনেছে ২৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম। এই স্পেকট্রাম অবশ্য সাধারণ জনগণের জন্য নয়। এ ছাড়া ভারতী এয়ারটেল ৪৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকার স্পেকট্রাম, ভোডাফোন ১৮ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকার স্পেকট্রাম কিনেছে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, সরকার এই ৫জি স্পেকট্রাম বন্টনের পর প্রথম বছরে ১৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা উপার্জন করবে। অক্টোবরেই দেশ জুড়ে শুরু হয়ে যাবে ৫জি পরিষেবা।
এর আগে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) এর রজত জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেয়া বক্তৃতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ৫ জি ভারতীয় অর্থনীতিতে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখবে। এই দশকের শেষের দিকে আমাদের ৬ জি পরিষেবা চালু করতে সক্ষম হওয়া উচিত। আর এই নিয়ে আমাদের টাস্ক ফোর্স এটি নিয়ে কাজ করছে। তিনি আর বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা স্টার্টআপগুলিকে টেলিকম সেক্টর ও ৫ জি প্রযুক্তিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করবে। IIT মাদ্রাজের নেতৃত্বে মোট আটটি প্রতিষ্ঠানের দ্বারা বহু-ইনস্টিটিউট সহযোগিতামূলক প্রকল্পে কাজ করবে।