আলাদা আলাদা খণ্ডে বিভক্ত সূর্যের উপরিভাগ। এই একেকটি খণ্ডের আয়তন আমেরিকার টেক্সাসের সমান। প্রচন্ড উত্তাপ এসব খণ্ডের মধ্য দিয়েই বের হয়ে আসে সূর্য। আর একেকটি বিশাল প্লাজমা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছে। সেখান থেকে সূর্যের বিশাল সব আগুনের ফুলকি বের হচ্ছে।
হাওয়াইয়ের ডেনিয়েল কে. ইনোয়ে সোলার টেলিস্কোপে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ধারণ করা সূর্যের উপরিভাগের বিস্তারিত ছবি থেকে এমনটাই জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
নিঃসন্দেহে এই ছবি সূর্যকে নিয়ে গবেষণার নতুন পথ খুলে দিলো। এর মাধ্যমে গবেষণার নতুন খোরক পেলেন জ্যোতির্বিদরা। এছাড়াও এই তথ্য পৃথিবীর প্রযুক্তিতে এক বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। পাওয়ার গ্রিড, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের ওপর প্রভাব ফেলবে এই তথ্য।
পাশাপাশি এই ইনোয়ে সোলার টেলিস্কোপ ও সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করা স্যাটেলাইট আমাদের প্রযুক্তিগতভাবে আরো নির্ভুল হতে সহায়তা করবে বলেই বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।
এ বিষয়ে দ্য ইনোয়ে সোলার টেলিস্কোপের পরিচালক ফ্রান্স কর্ডোভা বলেছেন, এই ছবির কল্যাণে সূর্যের ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর মানচিত্র তৈরির কাজ সহজ হলো। এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে সূর্যের ঝড় ও মহাকাশের আবহাওয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। সূর্যপৃষ্ঠ নিয়ে গবেষণা করে বিশেষ এই টেলিস্কোপটি আবহাওয়ার আগাম তথ্য জানতে সহায়তা করবে। এতে করে ভবিষ্যতে মহাকাশে প্রতিকূল আবহাওয়া সৃষ্টি হলে ৪৮ মিনিট থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে তা মানুষকে জানাতে পারবে এই টেলিস্কোপ। এতে করে পাওয়ার গ্রিড, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও স্যাটেলাইট সুরক্ষা করা সহজ হবে।
জানাগেছে, আগামী ৬ মাস ধরে ইনোয়ে টেলিস্কোপের সাথে জড়িত বিজ্ঞানী ও গবেষকরা আরো বিশদ গবেষণা চালিয়ে যাবেন।