আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জাতীয় সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ইক্যাবের ২০২২-২৪ দ্বি-বার্ষিক কার্য নির্বাহী কমিটির নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে গত ১১ মে শুরু হয়েছে প্রার্থীতা মনোনয়ন সংগ্রহ কার্যক্রম। আগামী ১৮ মে পর্যন্ত দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। বিকেলে ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
এরই মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিতে ৯ পদের বিপরীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। দিন যতই যাচ্ছে সদস্যদের কাছে ক্রমেই বাড়ছে ই-ক্যাবের গুরুত্ব। সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব হয়ে উঠছেন ই ক্যাবিয়ানরা।
উত্তরার পর শনিবার রাতে গুলশানের ই-ক্যাব মিটে উপস্থিত ভোটারদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হলো পরীক্ষিতদের মাধ্যমেই যে যেনো শক্ত একটা ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় আগামী নেতৃত্ব। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ই-ক্যাব সঠিক পথেই আছে। যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই মহামারিতে জরুরী সেবা হিসেবে স্বীকৃতি এবং লকডাউনেও ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে জাতীয় প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছে বর্তমান নেতৃত্ব। তাই নতুন করে পথ চলার চেয়ে ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড এনার্জি (ই২) মডেলে শমী-তমালের নেতৃত্বে ই-ক্যাব সবাইকে নিয়েই সামনে এগিয়ে যাবে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে সদস্যদের এই আড্ডা সঞ্চালনা করেন সধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। আড্ডায় অংশ নেয়া অর্ধশতাধিক ভোটারের সবাই নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে যারাই এই ভোট নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করবে তাদেরকে বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আড্ডায় সম্মানিত অতিথি ভোটার হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিজের বলার মতো গল্পের উদ্যোক্তা ইকবাল বাহার এবং বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। সব শেষে ই-ক্যাবিয়ানদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্যানেল ঘোষণা এবং ইশতেহার দেয়ার লক্ষ্যে কেক কেটে আড্ডার পরিসমাপ্তি ঘটে।