কমিউনিটি ক্লিনিকের আদলে এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশেষায়িত টেলিহেলথ সেন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে আইসিটি বিভাগ। অ্যাকসেস টু ইনোভেট (এটুআই) এর উদ্যোগে শিগগিরই স্বাস্থ্যসেবা খাতের ৩০টি স্টার্টআপ অস্থায়ি এই সেন্টারে সেবা দেয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন মিলনায়তনে চীনা সরকারের সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিএসএমএমইউতে স্থাপিত হৃদরোগের চিকিৎসায় ডিজিটাল পরিকাঠামো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। স্মার্ট হাসপাতাল হিসেবে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য হিসেবে গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এসময় এই কার্যক্রমে সংযুক্ত হওয়ায় নেতৃস্থানীয় চীনা স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা, লিড মেডিকেল মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান পলক। একইসঙ্গে করোনাকালে বিএসএমইউ চিকিৎকদের টেলিমেডিসিন সেবায় যুক্ত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে সফটওয়্যার সল্যুশনের কারণে রোগীর খরচ কমার পাশাপাশি উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়েছে। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জনকেন্দ্রিক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক পরিবেশ বান্ধব সার্কুলার ইকোনোমি গড়ে তুলবো। কেননা ভবিষ্যতের পুরোটাই এআই, ডেটা অ্যানালাইসিস ও মেশিন লার্নিং এর মোতো অগ্রসরমান প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএসএমএমইউ এর হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে চীনা রাষ্ট্রদূত ডিজিটাল ডায়াগানসিস ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জনে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে চায়না। এরই মধ্যে বিএসএমইউ এ ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতা অর্জন করে সেবার মান উন্নয়ন এবং পরিচালন ব্যয় কমাতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি এই আগামীতে এই পাইলট প্রকল্প বাংলাদেশকে স্মার্ট হেলথ সিস্টেম গড়ে তুলতে সহায়তা করবে, যেমনটা কোভিড মহামারিতে পেরেছে। সহযোগিতার অংশ হিসেবে কিছুদিন আগেই বাংলাদেশকে ডেঙ্গুর ঔষধ সরবারাহ করেছে। আমি আশা করি বিএসএমইউ স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশের ভ্যানগার্ড হয়ে থাকবে।