ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় ও প্রান্তিক মানুষের খরচ কমিয়ে সহজলভ্য আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে বিকাশ। তারপরও গ্রাহক অভিযোগ না করলেও একটি কমিউনিটি বিকাশের খরচ নিয়ে প্রশ্ন করেন বলে জানিয়েছেন দেশের অগ্রগামী ফিনটেক বিকাশ প্রতিষ্ঠাতা কামাল কাদির। শনিবার ইন্টার কন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ডবলরুমে প্রথম বাংলাদেশ স্টার্টআপ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠা থেকে এক যুগের পথচলার গল্প তুলে ধরেন তিনি। জানিয়েছেন, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গত দেড় বছরে বিকাশ ২৭৫ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর অনেক ঋণই গ্রাহক নিজ যোগ্যতায় রাত দেড়টার সময়েও পেয়েছেন।
ফায়ার সাইড চ্যাটে অংশ নিয়ে কামাল কাদির বলেন, অংশীদারদের থেকে ধীরে ধীরে একটি বিশ্বস্ত ও মজবুত সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে বিকাশ।
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, হস্তক্ষেপ মুক্ত পরিচালনা ও গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা জামিল রেজা স্যারকে স্বাধীন পরিচালক হতে রাজি করিয়েছিলাম। একইভাবে গেইট ফাউন্ডেশনের সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে আমরা কেন্দ্রিয় ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে গ্রাহকের অর্থ ২৭টি ব্যাংকে টাকা জমা রাখি। নিয়মে ২৫ শতাংশ হলেও বিকাশ এর অর্থের ৭৭ শতাংশই গভর্নেন্স সিকিউরিটি অ্যাকাউন্টে রেখেছে। একইসঙ্গে বায়োমেট্রিক ফেশিয়াল রিকগনিশন কেওয়াইসি’র মতো উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি। এর মাধ্যমেই বিকাশে ৭ কোটি গ্রাহকই ভেরিফায়েড।
১৪ বছরের পথ চলা আর ১২ বছরের সেবায় বিকাশ এখন আর স্টার্টআপ নেই বলেও বিনয়ের সঙ্গে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সিইও। বলেছেন, আলি পে’র বিনিয়োগ পাওয়ার পর গত ৫ বছর আগেই বিকাশ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান হয়েছে। এটা বড় বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে ইনস্টিটিউশন হিসেবে ঠিক আছে কি না। এমন ১৯টি সেমিনারের মধ্য দিয়ে ফিনটেক, ই-কমার্স আর ভেঞ্চর মিটআপের মধ্য দিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে প্রথম বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩।