রাজধানীর উত্তর মুগদায় কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াস ইকবাল নূরকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যতম প্রধান তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার ৩ জন হলেন, মো. খালিদ হাসান (১৮), মো. আরিফ হোসেন (২১) এবং মো. মেহেদী হাসান মিরাজ (২০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি।
র্যাব বলছে, একটি পুরোনো মোবাইল ফোন বিক্রির টাকা পরিশোধের দ্বন্দ্বে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াস ইকবাল নূর এবং শামীম হোসেনকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেফতার ৩ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমির উদ্দিন আহমেদ অনিক চোরাই মোবাইল ফোন কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অনিকের কাছ থেকে নিহত পিয়াসের বন্ধু মাহির ৪ হাজার ৩০০ টাকা বাকিতে একটি চোরাই মোবাইল ফোন কেনেন। ক্রয়কৃত মোবাইলের টাকা ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিশোধ করার কথা থাকলেও মাহির আর্থিক সমস্যার কারণে তা পরিশোধ করতে পারেননি। যথাসময়ে টাকা পরিশোধ না করায় অনিক তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে গত ৭ মার্চ সন্ধ্যায় অনিক গ্রেফতার খালিদ, আরিফ, মিরাজ ও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি অর্নব এবং রাব্বীকে নিয়ে মোবাইল বিক্রির বাকি টাকা আদায়ের জন্য মাহিরের বাসায় যান।
মঈন বলেন, গত ৭ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তর মুগদা এলাকায় একটি পুরোনো মোবাইল ফোন বিক্রির টাকা পরিশোধের দ্বন্দ্বে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াস ইকবাল নূর এবং শামীম হোসেনকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পিয়াসকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহত পিয়াসের বাবা বাদী হয়ে মুগদা থানায় ৬ জনকে আসামি করে এবং কয়েকজন অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।