শুনতে একটু হাস্যকর হলেও এটা সত্য। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে কার্যকরী একটি হেডফোন তৈরি করেছে ব্রিটিশ বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ডাইসন। দুই কান ঢাকা দৃষ্টিনন্দন হেডফোনের সঙ্গে বায়ুবিশুদ্ধকরণ ফিল্টার জুড়ে দিয়েছে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের জন্য সুপরিচিত কোম্পানিটি। আগামি কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি পণ্যটি বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গ্যাজেট বিষয়ক পাবলিকেশন পকেট-লিন্টের উপসম্পাদক ব্রিটা ও’বয়লি।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ডাইসন জোন নামের হেডফোনটি তৈরিতে মোট ছয় বছর সময় লেগেছে। হেডফোনটি বর্তমান সময়ের অন্যতম সমস্যা বায়ুদূষণ প্রতিরোধে কার্যকরী হবে এমনভাবেই নকশা করা হয়েছে। নকশাটি সত্যিকার অর্থেই দৃষ্টিনন্দন। শব্দের মানও খুব চমৎকার। হেডফোনটি খুব সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে পণ্যটি বেশ ব্যায়বহুল হবে।
ডাইসনের প্রধান প্রকৌশলী স্যার জেমস ডাইসন বলেছেন, বায়ু দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা যেখানেই যাই না কেন এ সমস্যা থাকবেই ডাইসন জোন আপনি যেখানে যান না কেন বাতাসকে পরিশুদ্ধ করবে। তবে ফুসফুসে বিশুদ্ধ বায়ু পৌঁছানোর জন্য ডাইসন জোন ৯৭ শতাংশ কার্যকরী।
হেডফোনটির রিভিউ বলছে, শব্দ দূষণ প্রতিরোধী এ হেডফোনটির একটি মোটর, ফ্যান এবং প্রতিটি এয়ার কাপে এয়ার ফিল্টার রয়েছে। এই ফিল্টারের মাধ্যমে বায়ু শোষণ করে সেখান থেকে নাইট্রোজেন ও সালফার ডাইঅক্সাইডের মতো দূষিত পদার্থগুলো পৃথক করা হয় এবং ধুলো-ময়লা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এভাবে বায়ু বিশুদ্ধ করে তা ভিসারের মাধ্যমে নাক ও মুখের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। এই ভিসার বা মুখোশটি হেডফোনের নিচ থেকে চৌম্বকীয় শক্তিতে সংযুক্ত থাকে।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে , যন্ত্রটি পরিধানকারী রাস্তায় হাঁটছে না বসে আছে তার ওপর নির্ভর করে চারটি বিশুদ্ধকরণ মোড রয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পরিশ্রম ট্র্যাক করে বিভিন্নধরনের মুড বোঝার জন্য হেডফোনে সেন্সর লাগানো থাকে।
হেডফোনটি কম ফিল্টার মোডে থাকলে এর ব্যাটারি চার ঘন্টা চলবে। আর বেশি ফিল্টার মোডে থাকলে দেড় ঘন্টা চলবে।