‘হোল্ড মানি প্রসেস প্ল্যান’ অর্থ্যাৎ গ্রাহক ও সরবরাহকারীর টাকা আটকে রেখে তা সরিয়ে ফেলাই ছিলো ধামাকা শপিং ডটকম- এর ব্যাসায়িক মডেল। এই ব্যাবসায় তাদের নিজস্ব কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছিল না। হোল্ড মানি প্রসেস প্লান ফলো করে কয়েকটি দেশি-বিদেশী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় অফারের আলোকে ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেছিলো ধামাকা শপিং ডট কম। তাদের নেই কোনো ট্রেড লাইসেন্স। ফলে সাধারণ গ্রাহকরা যে টাকা দিয়েছে তা গেছে ঢাকা ভিত্তিক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ইনভেরিয়েন্ট টেলিকমের অ্যাকাউন্টে। ফলে গ্রাহকের ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন হলেও এখন ধামাকার অ্যাকাউন্টে মাত্র লাখ খানেক টাকা।
ধামাকা শপিং ডটকমের আটক ৩ কর্মকর্তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এসব কথা জানিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন।
বুধবার এই এলিট ফোর্সের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, কোম্পানিটির কাছে সেলার বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৮০-১৯০ কোটি টাকা এবং কাস্টমারদের বকেয়া ১৫০ কোটি টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছে, আর্থিক সংকটের কারণে গত কয়েক মাস যাবত প্রতিষ্ঠানের অফিস এবং ডিপো ভাড়া বকেয়া রয়েছে; পাশাপাশি জুন ২০২১ থেকে কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। চলতি বছরের গত এপ্রিল থেকে ধামাকা শপিং ডট কম অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কারণে জুলাই হতে সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ধামাকা শপিং ডট কম ছাড়াও তাদের আরও কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমনঃ ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড, মাইক্রোট্রেড ফুড এবং বেভারেজ লিমিটেড এবং মাইক্রোট্রেড আইসিক্স লিমিটেড ইত্যাদি। মূলত প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য তৈরিকারক ও গ্রাহক চেইন বা নেটওয়ার্ক থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
এসময় বুধবার ভোরে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ এর অভিযানে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে আটক ধামাকার সিরাজুল ইসলাম রানা, ইমতিয়াজ হাসান সবুজ ও ইব্রাহিম স্বপনকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।