রোবট প্রেমিকদের নিজেদের উদ্ভাবিত রোবটের ত্রিমাত্রিক নকশা নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছে রোবট নকশার আসর। এই আসরের সেরা নকশাবিদ হবেন লাখপতি। আর প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্স আপ পাবে ৫০ ও ২৫ হাজার টাকা।
এছাড়াও ড্যাফোডিলের রোবোটিক্স ল্যাবের ১ বছরের মেম্বারশীপ, গবেষণার সুবিধা এবং মেন্টরিং সাপোর্ট এবং উপস্থাপিত রোবট মডেলকে বাস্তবরূপদান করতে সব ধরনের সাহায্য করবে ড্যাফোডিল রোবটিকস ল্যাব।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই প্রতিযোগিতায় দেশের সকল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিটি দলের সদস্য সংখ্যা হতে হবে নূন্যতম ৩-৫ জন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের থ্রিডি রোবট ডিজাইন করতে হবে। প্রতিযোগিরা ৬টি ক্যাটাগরির মাধ্যমে নিজেদের প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে পারবেন। প্রতিযোগিদের উপস্থাপিত থ্রিডি রোবট মডেলগুলো ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও বিচার করবেন বিচারকগণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড্যাফোডিল রোবটিকস ল্যাবের আয়োজনে ‘রোবট নকশার আসর ২০২১’ নামের এই প্রতিযোগিতার ভার্চুয়াল উদ্বোধন হয়েছে ১২ আগস্ট। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসাইন।
উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক প্রধান ড. লাফিফা জামাল।
এছাড়া অন্যান্যেও মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রোবট নকশার আসর প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক ও ড্যাফোিডল বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ, একই বিভাগের প্রভাষক হাফিজুল ইমরান, ফেলিসিটি আইডিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারফুল আলম, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ পাটোয়ারি, এটুআইয়ের টেকনোলজি এক্সপার্ট ফজলে মুনিম ও এসএসডি টেক-এর হেড অব কর্পোরেট সেলস নাহিদা আকতার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে না পারলে কোনো জাতি আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত জাতি হতে পারে। সেজন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এ ধরনের প্রতিযোগিতা তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে তাতে সন্দেহ নেই। এ সময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান রোবট নকশা প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য।
অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসাইন আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। এসব শিল্প কারখানায় রোবটের ব্যবহার অত্যাবশ্যক। খুব শিঘ্রই রোবট আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠবে। এজন্য তিনি তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে নিত্য নতুন এবং প্রয়োজনীয় রোবট নকশা তৈরি ও বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগী হওয়ার আহŸান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, আমাদেও দেশে রোবট নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। নদীমাতৃক এই দেশে নৌযানে রোবটের ব্যবহার, কৃষি, শিল্পকারখানা, চিৎসাখাত ইত্যাদিতেও ব্যাপকভাবে রোবটকে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য দরকার যথাযথ আইডিয়া উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন করা। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীরা রোবট নিয়ে চমৎকার সব আইডিয়া উদ্ভাবন করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ড. মো. সবুর খান আরও বলেন, শিক্ষার্থীদেও উদ্ভাবিত রোবট মডেলহগুলো থেকে সেরা মডেল বাছাই কওে যদি মডেলগুলোর বাস্তব রূপদান করা যায়, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিবন্ধন করা যাবে এই লিংক থেকে।