এখন শুধুমাত্র ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের পাসওয়ার্ড হ্যাক করেই থেমে নেই হ্যাকাররা। এখন আপনার স্মার্টফোন থেকেই প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়ে যায় হ্যাকাররা। কারণ, বর্তমানে আমাদের স্মার্টফোন থেকেই যাবতীয় আর্থিক লেনদেন করা হয়।
তাই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-সহ বিভিন্ন পেমেন্ট মাধ্যমের সব জরুরি তথ্য, পাসওয়ার্ড সেভ করা থাকে আমাদের স্মার্টফোনেই। এই স্মার্টফোন একবার হ্যাক করতে পারলেই আপনাকে সর্ব শান্ত করতে পারে হ্যাকাররা। তাই টাকা তোলার জন্য ডেবিট কার্ড বা এটিএম ব্যবহার না করলেও ব্যাংক জালিয়াতদের কবলে পড়ার আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যায়!
কারণ, আপনার মোবাইল নম্বর আপনার সবকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গেই যুক্ত করা থাকে। আর আপনার এই রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরের সঙ্গে লিংক করা সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে প্রতারকেরা।
কিন্তু কী ভাবে আপনার স্মার্টফোন হ্যাক করবে ব্যাংক জালিয়াতরা? এমন অনেক উপায় রয়েছে, যেগুলোর যে কোনও একটি কাজে লাগিয়ে অনায়াসেই যে কোনও স্মার্টফোন হ্যাক করতে পারে ব্যাংক জালিয়াতরা।
ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তার জাল সহজেই কেটে আপনার স্মার্টফোন হ্যাক করার চেষ্টা করতে পারে হ্যাকাররা।
সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অচেনা নেটওয়ার্কে ফ্রি-ওয়াইফাই-এর সুবিধা মানেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেখানে হ্যাকার হানার ঝুঁকি বহুগুণ বেশি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অচেনা নেটওয়ার্কে ফ্রি-ওয়াইফাই আসলে হ্যাকারদেরই পাতা ফাঁদ।
সম্প্রতি সামনে আসা ‘নর্টনস সাইবার সিকিউরিটি ইনসাইট রিপোর্ট’এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন। আর এদের মধ্যে বেশিরভাগের কার্ড সংক্রান্ত তথ্যই ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হ্যাক করা হচ্ছে।
তাই সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অচেনা, পার্সওয়ার্ড ছাড়া ফ্রি-ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
একান্তই যদি প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের ‘ফাইল শেয়ারিং’ নিষ্ক্রিয় করে রাখুন।