সিম ক্লোনিংয়ের পর এবার প্রতারণার নতুন ফাঁদ আবিষ্কার করেছেন হ্যাকারা। যার নাম “কল স্পুফিং” (যার মাধ্যমে সফটওয়্যার থেকে যে কোনো ব্যক্তির মোবাইল নম্বর হুবহু নকল করে অন্য কাউকে ফোন করা যায়)। মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি।
কেননা একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তির মোবাইল নম্বর হুবহু নকল করে ফোন করে ফান করা এখন কঠীন কিছু নয়। কিন্তু ফানের বদলে ওই একই সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেশে চলছে প্রতারণা। ফলে অনেকেই ভাবছেন, তার সিম ক্লোনিং বা হ্যাকিং করে এ ধরনের ফোন করা হচ্ছে। তবে সিম ক্লোনিং নয় নম্বর স্পুফিং করে দেশে একটি চক্র প্রতারণায় নেমেছে।
তাই কেউ যদি হুবহু একই নম্বর নকল করে সেখান থেকে কল করে থাকেন তবে ভরকে না গিয়ে নম্বরটি যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। যেহেতু গুগলের প্লে স্টোরেই মানুষকে ভড়কে দিতে বা মজা করার এই সফটওয়্যারটি পাওয়া যায় সে কারণে স্পুফিং সফটওয়্যারটিকে আটকানোর কোনো ব্যবস্থা এই মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিষয়টি সম্পর্কে সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকার পাশাপাশি কোনো সমস্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘তারপরও বিটিআরসি এ নিয়ে কিছু করা যায় কি না, সে ব্যাপারে চেষ্টা করছে।’
অপরদিকে প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এ ধরনের অস্বাভাবিক ফোনকল এলে প্রথমত বিচলতি না হয়ে স্বাভাবিক থাকতে হবে। এরপর কলটি শেষ করে ওই নম্বরে পুনরায় কল করে বিষয়টি যাচাই করে নিতে হবে। অথবা কল কেটে দিয়ে কল ব্যাক করতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু ফোনকলটি প্রযুক্তির সহায়তায় করা হয়, তাই স্বাভাবিকভাবেই ফিরতি কলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যাবে। এরপরই বিষয়টি দ্রুত পুলিশকে জানাতে হবে। প্রয়োজনে জিডিও করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ‘স্পুফিং’ মূলত একটি মজা করার (ফান সফটওয়্যার) প্রযুক্তি। সারা বিশ্বে সাধারণত বন্ধুবন্ধব বা প্রিয়জনকে আচমকা ভড়কে দিয়ে স্রেফ মজা করার জন্যই এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।