সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হ্যান্ডসেটটি যতেই স্মার্ট হচ্ছে; ততই বাড়ছে এর বহুমাত্রিক ব্যবহার। আর ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমছে এর ব্যাটারি আয়ু। অনেক ক্ষেত্রেই এক চার্জে দিন পার হওয়াটা দুরুহ হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীর এমন সমস্যা দূর করতে প্রায় প্রতিটি নির্মাতা কোম্পানি এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করছে। ফোনের চার্জ নজরে রাখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও ব্যাটারি আয়ু কাল নিয়ে স্বস্তি ফিরছে না।
এমন অবস্থায় ব্যবহারকারীদের সচেতন হবার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারাই বাতলে দিয়েছেন ফোনের ব্যাটারী দীর্ঘস্থায়ীর ৫ কৌশল।
১. কোনো কারণে স্মার্টফোন কিছুদিনের জন্য ব্যবহার না করলে ব্যাটারির চার্জ ৫০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে, চার্জ কমতে কমতে যেন ২০ শতাংশের নিচে নেমে না যায়। ব্যাটারির চার্জ সম্পূর্ণ ফুরিয়ে অথবা পূর্ণ চার্জ অবস্থায় রাখার চেয়ে মাঝামাঝি রাখাটাই উত্তম।
২. খুব কম অথবা বেশি তাপমাত্রা ব্যাটারির ভেতরের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে। তাই গাড়ির ইঞ্জিন বরাবর অথবা সরাসরি সূর্যের আলোতে স্মার্টফোন রাখা উচিত নয়। এতে ব্যাটারি তাপ শোষণ করে বেশি উষ্ণ হয়ে পড়তে পারে। তাই ফোন এমন জায়গাতে রাখা যাবে না, যেখানে ফোন অতিরিক্ত উষ্ণ বা শীতল হয়।
৩. খরগোশের মতো নয়, বরং কচ্ছপের গতিতে চার্জ করলে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ফাস্ট-চার্জিং কিংবা তারবিহীন চার্জিং প্রযুক্তি খারাপ। কিন্তু এ সুবিধাগুলো নিতে হলে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ফাস্ট–চার্জিং প্রযুক্তির জন্য অবশ্যই যে কোম্পানির স্মার্টফোন তারই চার্জার ব্যবহার করতে হবে। তারবিহীন চার্জিংয়ের ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রযোজ্য।
৪. ব্যাটারি দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী রাখতে ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করার বিকল্প নেই। তাই সফটওয়্যারগুলোর সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার হালনাগাদ করা থাকলে অন্য সুবিধাও রয়েছে।
৫. প্রতিবার শতভাগ চার্জ আর পুরোপুরি ব্যবহার ব্যাটারির জীবনকালকে সীমিত করে ফেলে। এ জন্য একবার চার্জ করে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত। কিছু বিষয়ের দিকে একটু নজর দিলে চার্জ কম খরচ করেও দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহার করা যায়। যেমন, মোবাইল স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা ও ফোনের স্পিকারের পরিবর্তে হেডফোন দিয়ে ভিডিও দেখা ও অডিও শোনা ইত্যাদি।