বর্তমানে যাতায়াতের জন্য সবথেকে জনপ্রিয় বাহন হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল। তবে মোটরসাইকেল চালকদের কাছে মাইলেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে যাদের প্রতিদিন অনেকটা পথ বাইক চালাতে হয় তাদের ক্ষেত্রে মাইলেজ কম বা মাইলেজের সমস্যা হলে অনেকটাই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
অনেক সময় দেখা যায় বাইক কিছু পুরনো হলেই কিছু পরিমাণ মাইলেজ দিয়ে বাইক হাপিয়ে যাচ্ছে। বাইকের যে নির্দিষ্ট মাইলেজ, তা পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে কিন্তু একটু খেয়াল রাখলেই এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
সার্ভিসিং, টায়ার প্রেসারসহ বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে ভালো মাইলেজ পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত সার্ভিসিং-এর পরেও যদি মনে হয় মাইলেজ বাড়ছে না সে ক্ষেত্রে কার্বুরেটর সেটিংস চেক করতে হবে। বৈদ্যুতিকভাবে বা ম্যানুয়ালি কার্বুরেটর রিটিউন করায় ইঞ্জিন তার কর্মক্ষমতা ফিরে পায়, ফলে মাইলেজ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
অনেক সময় ইঞ্জিন চালু রেখেই দীর্ঘক্ষণ ধরে ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকেন চালকরা, কিন্তু এই এক মস্ত বড় ভুল। যদি দেখেন ট্রাফিক সিগনালে ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে হবে সেক্ষেত্রে কিল সুইচ ব্যবহার করতে হবে এবং ইঞ্জিন বন্ধ করতে হবে। এভাবে জ্বালানি সঞ্চয় করা সম্ভব।
সঠিক সময় অন্তর বাইক সার্ভিসিং ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য উন্নতি যেমন করে তেমন মাইলেজ এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনেক সময় জ্বালানিতে ভেজাল থাকলে তা বাইকের মাইলেজ কমিয়ে দেয় এমনকি বাইকের ইঞ্জিনও খারাপ করে দেয়। তাই ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ভালোমানের জ্বালানি কিনুন।
কথাই বলে ক্লিন বাইক ইজ এ ফার্স্ট বাইক.. তাই বাইক পরিস্কার করা উচিত এবং লুব্রিকেট করা উচিত। বাইক মডিফাই করার জন্য অনেক সময় অনেকে বাজার চলতি পণ্য ব্যবহার করেন, যা বাইকের মাইলেজ কমিয়ে দিতে পারে।
ডিবিটেক/বিএমটি