সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের জন্য সাবমেরিন ক্যাবলের লাইসেন্স পেয়েছে তিন প্রতিষ্ঠান। বাজার প্রতিযোগিতা ও গ্রাহকদের সেবার মান উন্নত করতেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরিতে এই লাইসেন্স দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
খাত সংশ্লিষ্টরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় বাজারে ভারসাম্য বিনষ্টের আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের জাতীয় সংগঠন আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক বলেছেন, বেসরকারি ভাবে সাবমেরিন ক্যাবলের লাইসেন্স দেয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের প্রত্যাশা এই উদ্যোগ ব্যান্ডউইথের ব্যবহার, সুরক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। তবে লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের একইসঙ্গে ট্রান্সমিশন থেকে আএসিপি সেবা রয়েছে। এবার সাবমেরিন সুবিধা পাওয়ায় বড় ব্যবসায়ী আরো বড় হবে। ছোট ব্যবসায়ীরা চাপে পড়বে। বিষয়টি আমাদের জন্য বেশ শঙ্কার। আশা করবো, যারা লাইসেন্স পেয়েছেন তারা যেনো একচেটিয়া কারবার না করেন।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে তারা যোগ্য কি না তা যাচাই করেই দেয়া হয়েছে। কার কয়টা বা কী কী লাইসেন্স আছে তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আর আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতির দেশ। এখানে কাউকে বলা যাবে না আপনি এই ব্যবসা কইরেন না। তবে বাজারে কেউ একাধিপত্য বিস্তার করলে প্রয়োজনে আইএসপি খাতেও সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী (এসএমপি) হিসেবে ঘোষণা করে বাজার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বেসরকারি সাবমেরিন ক্যাবাল লাইসেন্স দৌড়ে ৬ আবেদন; যোগ্যতার চ্যালেঞ্জে মিলবে লাইসেন্স
প্রসঙ্গত, সোমবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, সিডিনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ও মেটাকোর সাবকম লিমিটেডের নামে সাবমেরিন ক্যাবল লাইসেন্স ইস্যু করতে বিটিআরসি-কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ফলে আবেদন করা বাকি ৩টি প্রতিষ্ঠান- ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড,ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড এবং টোটাল সলিউসন্স লিমিটেড লাইসেন্স দৌড়ে ছিটকে পড়লো।
সূত্রমতে, বিটিআরসি হতে প্রাপ্ত ৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমিশন কর্তৃক গঠিত মূল্যায়ন কমিটির মূল্যায়নে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধিত ২০১০) এর ৩৬ (১) ধারার বিধান এবং সংশোধিত সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস গাইডলাইনের ক্লজ ৪.৫ মোতাবেক সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস লাইসেন্স এই তিন কোম্পানির নামে ইস্যুর জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে লাইসেন্স ইস্যুর নির্দেশনা দেয়া হয়।