এক দেশ এক রেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে গতিময় সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সেবা দিতে করণীয় নির্ধারণ করেছে সেবাদাতারা। তাদের দাবি, প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহারে চার স্তরে প্রদত্ত সর্বমোট ২০ শতাংশ ভ্যাট এই পথে বড় একটি বাধা।
একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে লাভের আগেই আইআইজিদের আয়ের যে ১০ শতাংশ শেয়ার করতে হয় তার ভার প্রকান্তরে গ্রাহক পর্যায়ে গিয়েই পড়ে। এরপর আইএসপিদের বার্ষিক ৩৫ শতাংশ ট্যাক্স মিলিয়ে ইন্টারনেটের দর ও গতি গ্রাহক পর্যায়ে গিয়ে সাশ্রয়ী থাকতে পারে না।
এর পাপশাপাশি সরকারি অর্থায়নে চলমান ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় বর্তমান ট্রান্সমিশন মূল্য ৮০ শতাংশ কমিয়ে যেনো ফের স্ট্যাবলিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি (ইডিসি) প্রকল্পটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন এই খাতের নেতারা।
এছাড়াও অবৈধ আইএসপিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে এনটিটিএন পর্যায়ে যদি ৮০ শতাংশ ট্রান্সমিশন ব্যয় কমানো যায় তবে দেশজুড়েই সাশ্রয়ী মূল্যে সমান্তরাল গতির ইন্টারনেট সেবা দেয়া সম্ভব বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, সামগ্রিক ভাবে দেশের ইন্টারনেট সেবার মান ভালো করতে হলে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর ডাটা বিক্রির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা এবং তাদের নেটওয়ার্কিংয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
তাদের দাবি, অচিরেই বিভাগীয় পর্যায়ে এনটিটিএন লাইসেন্স দিয়ে এই সেবাকে আইটিএসের অধীনে আনা হলে দেশে ইন্টারনেট বিপ্লবের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য ঘুচে দেয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগা করা সম্ভব হবে।
সূত্রমতে, সাংগঠনিকভাবে আইএসপি, আইআইজি সদস্যরা অংশী প্রতিষ্ঠান এনটিটিএন ও আইটিসিদের নিয়ে শিগগিরি দেশের ইন্টারনেট সেবায় চমক দেখাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, রাজস্ববোর্ড এবং আইসিটি, টেলিযোগাযোগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই দাবিগুলো উত্থাপন করবে। খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ জন্য একটি মোর্চা গঠনেরও আভাস পাওয়া গেছে। এতে বিটিসিএল ও বিএসসিসিএল-কেও অন্তর্ভূক্ত করা হবে। বাদ যাবে না মোবাইল অপারেটরও। এই মোর্চা থেকেই দেশের ইন্টারনেট সেবার মানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষার মাধ্যমে এই খাতকে ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্যাকবোন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করবে। সেবা অধিকার ও দায়িত্বের সীমানার মধ্যে একটি সুসমন্বিত ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ বলে জানাগেছে।