প্রতিবছর ৭ এপ্রিল জাতীয় ভাবে ই-কমার্স দিবস পালন করছে ই-ক্যাব। ঘরে থেকেই নিরাপদ, ই-কমার্সেই ভবিষ্যত প্রতিবাদ্যে দিবসটি পালনের আগেই করোনায় চলাচলে বিধি নিষেধে বেশ গতি পেয়েছে দেশের ই-কমার্স খাত।
প্রথম দুই দিনে এটুআই-এর উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম রুরাল এসিস্টেড ই-কামার্স প্লাটফর্ম ’একশপ-এ নিত্যপণ্যের বিক্রি বেড়েছে তিন গুণ। এছাড়াও বাজার মূল্য শৃঙ্খলায় ফের গতি পেয়েছে বাংলাদেশের প্রথম উম্মুক্ত কৃষিপণ্য প্লাটফর্ম ‘ফুড ফর নেশন’। দৈনিক যেখানে গড় ক্রেতা ছিলো এক হাজার তিনশ’ সেখানে এই সময়ে পাইকেরি ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে দ্বিগুণ। নিবন্ধিত ক্রেতাদের দৈনিক হিট বেড়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার-তিন হাজারে। প্লাটফর্মটিতে ৬ হাজার তিন শ’ কৃষকের গ্রুপ রয়েছে। তাদের উৎপাদিত নিত্যপণ্যই ফুড ফর নেশন থেকে সংগ্রহ করে পাইকারের হয়ে একশপের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে গ্রাহের ঘরে ঘরে।
বাজার শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠক বিষয়ে মন্ত্রী জানান, গত বছর এপ্রিলে শুরু হওয়া এই উদ্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় সাত হাজার ক্ষুদ্র কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা যুক্ত হয়েছেন এবং অগণিত কৃষি সাপ্লাই চেইন ক্রেতারা এর ব্যবহারকারী হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও আইসিটি বিভাগের গ্রামীণ ই-কমার্স উদ্যোগ একশপ, দেশের সেরা ই কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলোর অগ্রিগেশন চ্যানেল হিসাবে তাদেরকে ফুড ফর নেশন প্ল্যাটফর্ম এ যুক্ত করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা মূল্য মানের বেশি কৃষি ও কৃষিজাত পন্য ফুড ফর নেশন প্লাটফর্মে এক শপের সহায়তায় বাজারজাত করা হয়েছে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একশপ এর টিম লিড মো: রেজওয়ানুল হক জামি ডিজিবাংলাকে জানিয়েছেন, ৩৩৩ তে কল করে একশপে বায়না বেড়েছে। গত দুই দিন ধরে ঘরে বসে নিত্যপণ্য পেতে এই নম্বরে ফোন আসছে বেশি। এই বায়নার ৪৫ শতাংশই আসছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে। সাধারণ সময়ে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ থাকলেও গত দুই দিনে এই চাহিদা পত্রের ৯০ শতাংশই দখল করে নিয়েছে নিত্যপণ্য।
তিনি জানিয়েছেন, একশপের ৯৬ শতাংশ ডেলিভারি হয়ে থাকে ঢাকার বাইরে। চট্টগ্রামের পরেই এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও যশোর।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, একশপের রয়েছে ৯ হাজার ৭০০ এজেন্ট এবং ৫ হাজার ৭০০ নিজস্ব ডেলিভারি পার্সন, যাদের অধিকাংশই ছাত্র। এসওপি অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এরাই চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পৌঁছে দেন গ্রহকের দোর গোড়ায়।