সাইবার হুমকি একটি ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি যা সারা বিশ্বেই প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নতুন নতুন সাইবার হুমকি যেমন দেখা যাচ্ছে একইভাবে পুরানো হুমকিগুলিও নিয়মিতভাবে সময় এবং প্রযুক্তির সাথে বিকশিত হচ্ছে।
বিশ্বায়নের যুগে বাস করার ফলে এই বিবর্তিত হুমকিগুলিও সমানভাবে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে। সেই প্রভাব বিশ্লেষণ করেই প্রতি বছর “বাংলাদেশ সাইবার থ্রেট ল্যান্ডস্কেপ” প্রতিবেদন প্রকাশ বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম বা বিজিডি ই-গভ সার্ট এর রিস্ক এসেসমেন্ট ইউনিট।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯-২০২০ সালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, সরকারী-বেসরকারী সংস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও একাডেমিয়ার অংশগ্রহনে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়।
কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যগুলির ভিত্তিতে রিপোর্টটি প্রস্তুত করা হয়েছে। রিপোর্টটিতে দেখা যায় ২০১৯-২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে স্প্যাম যা গতবছর দ্বিতীয় বড় ঝুঁকি হিসেবে তালিকায় ছিলো। দ্বিতীয় ঝুঁকি হিসেবে র্যান্সমওয়ার গতবছরের অষ্টম অবস্থান থেকে এবারের রিপোর্টে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে।
এরপরের স্থানগুলোতে ফিশিং, ম্যালওয়ার, ইনফরমেশন লিকেজ এর মত ঝুকিগুলো স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম দশটি সাইবার ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে স্প্যাম, র্যানসামওয়্যার, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ইনফরমেশন লিকেজ, ইনসাইডার থ্রেট, আইডেন্টিটিটি থেফট, ওয়েব ভিত্তিক হামলা, ডাটা ব্রিচ ও ডিনায়েল অব সার্ভিস।