জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিওর নেতৃত্বে একদল মার্কিন আইনপ্রণেতা একটি বিলও উপস্থাপন করেছিলেন। তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত মাসের শেষ ভাগে প্রস্তাবটি আটকে দিয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পল। কিন্তু নতুন মাসে এসেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে টিকটক বন্ধের ঘোষণা দেয় ইতালি। এবার সেই পথ অনুসরণ করে সরকারি ডিভাইসে এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করলো অস্ট্রেলিয়া।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ড্রেইফাস মঙ্গলবার টিকটক নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়ার পরই টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই নিষেধাজ্ঞা যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ব্রিটেন এবং কানাডার পাশাপাশি প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডও সরকারি ডিভাইস থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।
নরওয়ে এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টও টিকটক নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে সামরিক জোট ন্যাটো তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছে ন্যাটোর সরবরাহ করা ডিভাইসে তারা যেন টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড না করেন।
অভিযোগ রয়েছে, চীন সরকার টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্যে অনুপ্রবেশ করতে পারে। তবে এমন অভিযোগ থাকলেও উন্নত বিশ্বের চার পাঁচটি দেশ ছাড়া কোনো দেশই টিকটক নিয়ে সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চীনা এই ভিডিও অ্যাপটির ব্যবসা আরও চাপের মুখেই পড়বে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।