রবি’র পর এবার গ্রাহক সংখ্যায় শীর্ষে থাকা মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনও সরকারের কাছে বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধ করতে যাচ্ছে। দাবিকৃত মূল টাকা বা বিটিআরসি’র পাওনার ২৫ শতাংশ পরিশোধ করতে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলিয়েড ডিভিশনে আবেদন করেছে তারা। আবেদন করেছে কিস্তি সুবিধার।
সূত্রমতে, উচ্চ আদালতের দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশনা পূণর্বিবেচনায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) রিভিউ আবেদন করেছে গ্রামীণফোন। রিভিউ আবেদনে ১২ কিস্তিতে ৫৭৫ কোটি টাকা দিতে চেয়েছে অপারেটরটি।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ডাইরেক্টর হোসেন সাদাত হোসেন বলেন, সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত রায়টি সদয় পুনর্বিবেচনার জন্য আজ আমরা অ্যাপিলেট ডিভিশনে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছি। আমাদের আবেদনে আমরা গ্রামীণফোনের নিকট থেকে বিটিআরসির ত্রুটিপূর্ণ অডিটের ভিত্তিতে দাবিকৃত মূল টাকার ২৫% বা প্রায় ৫৭৫ কোটি টাকা ১২ টি সমান মাসিক কিস্তিতে ডিপোজিট হিসাবে জমা দেয়ার সুযোগ প্রদানের জন্য আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেছেন, এখনো সময় বাকি আছে। আমরা আদালতের আদেশ পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। আদালত যা বলে আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এখানে আমাদের আপত্তি-অনাপত্তির কিছু নেই।
এর আগে অডিট আপত্তির বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা শুরুর শর্ত হিসেবে আদালত গ্রামীণফোনকে আগামী ২৩ ফ্রেবুয়ারির মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়েছিল, গ্রামীণফোন তিন মাসের মধ্যে ওই টাকা জমা দিলে সরঞ্জাম আমদানি ও প্যাকেজ অনুমোদনে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে হাইকোর্টের যে নির্দেশ রয়েছে, তা বহাল থাকবে। এর মানে হলো, গ্রামীণফোন সরঞ্জাম আমদানি করতে পারবে।
বিটিআরসির দাবি অনুযায়ী, রাজস্বের ভাগাভাগি, কর ও অন্যান্য খাতে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা বিটিআরসি’র।
গ্রামীণফোন জানিয়েছে, বিটিআরসি যে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করছে, তার মধ্যে ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাওনা দাবি। বিটিআরসির পাওনা দাবির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকার মধ্যে মূল অঙ্ক ২ হাজার ২৯৯ কোটি। বাকিটা ১৫ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ।
গ্রামীণফোন রাজস্ব ও সুদ বাদে বিটিআরসি’র দাবিকৃত পাওনার ২৫ শতাংশ পরিশোধের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে।