ইন্টারনেটে দুনিয়াটা আজ বিশ্বগ্রামে। সেই গ্রামে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হচ্ছে দেশ। পৃথিবী ছুটছে মাল্টিভার্সে। আগামীর সেই ‘স্মার্টভার্স’ এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় বসছে দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো’। রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে চার দিন ধরে চলবে এই মেলা। প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বেসিস এর আয়োজনে মেলায় হাজির হবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণ উদ্ভাবকদের তৈরি ১১টি রোবটের জমকালো আড্ডা। থাকছে ৮টি অভিনব উদ্ভাবন।
নিজেদের এমন উদ্ভাবন নিয়ে প্রযুক্তি খাতে আমদানি কমিয়ে রফতানি বাড়ানো লক্ষ্য নিয়েএই আয়োজন বলে জানালেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
আইএফআইসি ব্যাংক, হুয়াওয়ে রবি, পাঠাও, গ্রামীণ ফোনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবারের আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ২০৪টি দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং ২ শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। অনুষ্ঠিত হবে ২০টি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক সেমিনার। ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়ে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প।
রবিবার মেলার আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হলো, সফটএক্সপো উপলক্ষে এরইমধ্যে দেশের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ ক্যাম্পেইন। দর্শনার্থীরা যাতে সহজেই বেসিস সফটএক্সপোতে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য থাকছে ১০টির মতো বিশেষ শাটল বাস এবং পাঠাও সেবায় প্রোমো ছাড়। এছাড়াও থাকছে গেমিং জোন, বিজনেস লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট ও কনসার্ট। এবারের মেলায় ৩ লক্ষাধিক দর্শণার্থী পরিদর্শন করবেন বলে আশা করছে বেসিস।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বেসিস সফটএক্সপোর উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ এর আহ্বায়ক ও বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান এবং এবারের বেসিস সফটএক্সপোর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন সৈয়দ মনসুর মোস্তফা।
সভাপতির বক্তব্যে রাসেল টি আহমেদ বলেন, , “ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিরলস অবদানের কারণেই। আমাদের শুরুটা হয়েছিলো কম্পিউটার চেনানোর মধ্য দিয়ে। তারপর ২০০৩ থেকে বেসিস শুরু করে বেসিস সফটএক্সপো। এটা এখন দেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল টেকনোলজি এক্সপো। বেসিস বিভিন্ন দেশে ব্যবসা ত্বরান্বিত করার লক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদন করে আসছে। বরাবরের মতো এবারের প্রদর্শনীতেও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর বিটুবি ম্যাচ ম্যাকিং অনুষ্ঠিত হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবেন। যার মাধ্যমে আমরা সরকারের ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও এগিয়ে যাবো এবং ধারাবাহিকভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অগ্রসর হবো।”