ডিজিটাল বাংলাদেশের বাতিঘর হিসেবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি-বেসরকারি সকল সেবা পৌঁছে দিচ্ছে স্থানীয় উদ্যোক্তারা। এটুআই এর ব্যবস্থাপনায় ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টারের এই মডেল প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্রমতে, এখন দেশজুড়ে ৯৩৯৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে থেকে ৩৮৫টির বেশি সরকারি-বেসরকারি সেবা দিচ্ছেন ১৭ হাজার ৮০০ এর অধিক উদ্যোক্তা । প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরে প্রতিমাসে এই সেন্টার থেকে দেয়া হচ্ছে ৭৫ লাখের অধিক সেবা। এর মাধ্যমে ৭৮.১৪ শতাংশের বেশি সময়; ১৬.৫৫ শতাংশের বেশি ব্যয় এবং ১৭.৩৮ শতাংশের অধিক যাতায়াত সাশ্রয় করেছেন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা।
গত বছর যখন একযুগ পূর্তি হয় তখন দেশব্যাপী ৮,৮০৫টি ডিজিটাল সেন্টার ছিলো দেশে। ওই সমেয়ে প্রতিটি সেন্টার থেকে প্রতিমাসে গড়ে ৭০ লাখেরও অধিক সেবা প্রদান করা হতো। যুগপূর্তী অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন জানিয়েছিলেন, এই সেন্টার থেকে উদ্যোক্তারা নাগরিকদের প্রায় ৮০.২৮ কোটিরও অধিক সেবা প্রদান করেছেন। যার ফলে নাগরিকদের ৭৮.১৪% কর্মঘণ্টা, ১৬.৫৫% ব্যয় এবং ১৭.৪% যাতায়াত সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, এক বছরে ইউডিসি’র সংখ্যা বেড়েছে ৫৯২টি। সেবার পরিধি বেড়েছে ৫ লাখ। আর এর মাধ্যমে খরচ ও সময় সাশ্রয়ের হার অপরিবর্তীত থাকলেও নাগরিকের যাতায়াত সাশ্রয় বেড়েছে দশমিক ৩৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ইউডিসি’র যুগপূর্তী অনুষ্ঠানে এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার জনাব আনীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে নতুন নতুন জনবান্ধব সেবা যুক্ত করার লক্ষ্যে- এটুআই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করছে। সারাদেশের ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে দেশের সকল উপজেলার কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প হাব হিসেবে তৈরি করতে আমরা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। এছাড়া বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল সেন্টার মডেলটি ভবিষ্যতে বিদেশের মাটিতে প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সহায়তায় এর অধিভূক্ত ১৭০টি সদস্য দেশের মধ্যে ৫০টি দেশে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেন্টারের মডেলটি প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।